শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় শো-ডাউনের প্রস্তুতি বিএনপির

বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীতে বড় ধরনের শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। ইতিমধ্যে দলটির যৌথসভায় রাজধানীতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির হাইকমান্ড চাচ্ছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোডাউনের মধ্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে নিজেদের সাংগঠনিক উপস্থিতি জানান দিতে। সহসা মাঠ গরম করার নীতি থেকে সরে আসা বিএনপির লক্ষ্য শক্তি ক্ষয় না করে ধীরে ধীরে সরকার পতন আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছা।

এ কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সমাগম করার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর এই দলটি প্রতিষ্ঠান সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

১৯৭৬ সালে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন। এরপর ১৯৭৭ সালে ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেন এবং তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগ দল) প্রতিষ্ঠা করেন। বিচারপতি আবদুস সাত্তার ছিলেন এই দলের সমন্বয়ক। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাগ দল বিলুপ্ত করে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করা হয়। জিয়াউর রহমান হন দলের চেয়ারম্যান। ১৯৭৯ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচন করে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান নিহত হন। এর পর এই দলের সভাপতি নির্বাচিত হন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। এইচ এম এরশাদের সামরিক শাসন চলাকালে ১৯৮৪ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া। এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনেও বিএনপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। এর মধ্যে ১৯৯৫ সালে এই দলটি একতরফা বিতর্কিত নির্বাচন করে ১৫ দিনের জন্য সরকার সরকার গঠন করেছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি।

১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ওই দুই মেয়াদে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল ছিল বিএনপি। আওয়ামী লীগের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। কিন্তু ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলটিকে ব্যাপক ভরাডুবির সম্মুখীন হতে হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে রাজনীতির বাইরে থাকার শর্তে জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। আর দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডে হিসেবে বসবাসরত।

এদিকে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নাই, বাসা-বাড়িতেও এখন কোনো মানুষের জীবনে নিরাপত্তা নেই। অনির্বাচিত সরকার দখল করে আছে রাষ্ট্র ক্ষমতা। সেখানে বিএনপি গণতন্ত্রসহ মানুষের অধিকার আদায়ে লড়াই-সংগ্রাম করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশ যখন গণতন্ত্রহীন হয়ে পড়ে তখনেই বিএনপিকেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে, এখনো হচ্ছে।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীতে র‌্যালি করার মধ্যে দিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছে চায় দলটির হাইকমান্ড। সারাদেশে কর্মসূচি পালনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা দলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা মামলা নির্যাতনের মাত্রা অব্যাহত থাকলেও যে কোনো মূল্যে রাজপথে থাকতে চায় বিএনপি। উদ্দেশ্য সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেও তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের রাজপথে চাঙ্গা রাখা। তাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীসহ সারাদেশে বড় শো-ডাউনের পাশাপাশি ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। পোস্টার এবং ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও আলোচনা সভা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া রাজনীতি ও দর্শন নিয়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আসার পর থেকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন। এই লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তিনি গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার করেছেন। এই লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই তিনি দেশের মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা নিয়ে তিনবার প্রধানমন্ত্রী ও দুই বার বিরোধীদলীয় নেত্রী হয়েছেন। এখন পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রের জন্যই লড়াই সংগ্রাম করছেন।’

তিনি বলেন, ‘আজকে যেভাবে জিনিসপত্র চাল-ডাল-তেলের দাম বাড়ছে, যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, যেভাবে ন্যায় বিচার ভুলন্ঠিত হচ্ছে, যেখানে হত্যা-গুম করে দেশের মানুষকে একেবারেই বলা যেতে পারে যে, জিম্মি করে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আজকে আমাদের দায়িত্ব জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার সৈনিক হিসেবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে এদেরকে (সরকার) পরাজিত করে এখানে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। জনগণকে ঐক্যেবদ্ধ করে গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের একটিই চ্যালেঞ্জ হলো গণতন্ত্রকে আবার ফিরে পেতে চাই। গণতন্ত্র বলতে আমরা বোঝাই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, আইনের শাসন, মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, সেই গণতন্ত্র এখন নেই। এটা শুধু বিএনপির জন্য নয়, দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য ফিরিয়ে আনতে হবে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই, মন ভালো নেই। আজকে এমন এক সময় বিএনপি ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে যখন দেশের মানুষ বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের কবলে পড়ে বেঁচে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করা হয়েছে। আর গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি না করার শর্তে জামিনে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপির শপথ হচ্ছে বন্দি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না করে ঘরে ফিরে যাব না।’

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত