সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সিপিবির দ্বাদশ কাউন্সিল শেষ

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন ৪ মার্চ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দ্বাদশ কংগ্রেস শেষ হয়েছে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। কংগ্রেসের শেষ দিনে সিপিবির প্রতিনিধিরা ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেছেন।

এই কমিটি আগামী শুক্রবার (৪ মার্চ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ সাধারণ সম্পাদক এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করবেন। সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক, সহ সাধারণ সম্পাদকসহ সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য সংখ্যা মোট ৯ জন।

এদিকে বর্তমান সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরেক দফা সভাপতি থাকার জন্য গঠনতন্ত্র সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পার্টির কাউন্সিলররা সেই উদ্যোগের বিরোধিতা করায় সেটি পাস হয়নি। এনিয়ে ভোটাভুটি হলে গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিপক্ষে ভোট পড়ে বেশি। কংগ্রেসের নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের সঙ্গে সঙ্গে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচনের বিধান থাকলেও সেটি এবার করা সম্ভব হয়নি।

সিপিপি দ্বাদশ কংগ্রেস শুরু হয়েছিল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। এতে সারা দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন শাখা থেকে ৪৮৬ জন অংশ নেন। কংগ্রেসের শেষ দিনে অর্থাৎ চতুর্থ দিনে গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব আনেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

প্রথম দফায় সংশোধনীটি সংশোধনীতে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। কিন্তু এই ফলাফল মেনে নিতে পারেননি সেলিম ও তার অনুসারীরা। তাই পুনরায় ভোট হয়। ৪৮৬ জন কাউন্সিলর এর মধ্যে ২৪৫ জন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। কিন্তু পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংশোধনী প্রস্তাব পাস করতে হলে ২৯২ ভোটের প্রয়োজন। এখানে ৫১ ভোটে পরাজিত হন সেলিম। ফলে গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। পরে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সিপিবির উপস্থিত প্রতিনিধিদের ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।

সিপিবি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের একদিনের মধ্যেই এই কমিটির সদস্যদের ভোটাভুটিতে সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সহ সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ সদস্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচন করা হয়।
কিন্তু গঠনতন্ত্রের সংশোধনী পাস না হয় সেলিম ও তার অনুসারীরা কমিটির সভা আগামী শুক্রবার (৪মার্চ) পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন। নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সেলিমের অনুসারীর সংখ্যা ২১ জন। অপরদিকে তার বিপক্ষে রয়েছেন ২২জন।

সিপিবি সূত্রে জানা গেছে, ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সভাপতি হিসেবে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অধ্যাপক এম এম আকাশ এর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অধ্যাপক এম এম আকাশ এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। একারণে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রুহিন হোসেন প্রিন্স এর সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের কাউন্সিলে দেশের বাইরে থেকে সিপিবি'র ইংল্যান্ড, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র শাখা থেকে কাউন্সিলররা অংশ নেন।

প্রসঙ্গত মজাহিদুল ইসলাম সেলিম গত ৮ বছর ধরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ১৬ বছর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
২০১২ সালে দশম কংগ্রেসে সাধারণ সম্পাদকের শেষ মেয়াদে তিনি গঠনতন্ত্র সংশোধন করেন। তাতে কেউ দুই মেয়াদের বেশি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকতে পারবেন না মর্মে সংশোধন আনা হয়।

এনএইচবি/কেএফ/

Header Ad
Header Ad

পুড়ে গেছে ৮ রিসোর্ট

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত

রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেকের রিসোর্টে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে সাজেকের অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর মুহূর্তেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে সাজেক অবকাশ, ইকো ভ্যালি ও মেঘছুট রিসোর্ট এবং মনটানা ও মারুয়াতি রেস্টুরেন্টসহ ৮টি রিসোর্ট ও কটেজ পুড়ে গেছে।

সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জয় বলেন, ‘সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের রিসোর্টে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কতগুলো রিসোর্টে আগুন লেগেছে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আকতার জানান, দুপুরের দিকে সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। খাগড়াছড়ি, দীঘিনালার দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে। পাশাপাশি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।

বাঘাইহাট জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর মো. আবু নঈম খন্দকার বলেন, ‘এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নিরূপণ করা যাচ্ছে না।’

Header Ad
Header Ad

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা মুসলিম বিক্ষোভকারীদের হত্যার জন্য প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়ার সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৭৮ জন মুসলিম বিক্ষোভকারীর মৃত্যু ঘটে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ক্ষমা চেয়ে থাকসিন বলেন, "আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, আমার লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণের কল্যাণে কাজ করা। যদি আমার কোনো ভুল বা অযথা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"

এই ঘটনা 'তাক বাই গণহত্যা' নামে পরিচিত এবং এর জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন প্রথমবারের মতো দুঃখ প্রকাশ করলেন। ২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর নারাথিওয়াত প্রদেশের তাক বাই শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়, যার ফলে ৯ জন নিহত হয়। এরপর বিক্ষোভকারীদের হাতে বাধা দিয়ে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়া হয়, যার ফলে আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়।

থাই মানবাধিকার সংস্থা "দুয়ে জাই" এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আঞ্চনা হিম্মিনা এএফপিকে বলেছেন, এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো ক্ষমা চাওয়া। তিনি আরও বলেন, যদি থাকসিন ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক হন, তাহলে তার উচিত এই হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের কাছে সরাসরি ক্ষমা চাওয়া।

Header Ad
Header Ad

কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে

কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলায় নিহত যুবক নাহিদ। ছবি: সংগৃহীত

বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিমান ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম শিহাব কবির নাহিদ। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। নাহিদ কক্সবাজার পিটিআই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট নাসির উদ্দীন ও কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুনের একমাত্র সন্তান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিহত শিহাবের মা আমেনা খাতুন হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন, বিমান বাহিনী আমার ছেলের মাথায় গুলি করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে বৈঠকে অংশ নিতে এলাকাবাসীর কয়েকজন প্রতিনিধি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন।পথে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে তাদের বহনকারী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আটকে দেওয়া হয়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা জাহেদকে জোর করে তুলে নেওয়া চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের সময় বিমান বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে কয়েকজন অন্তত হন। স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিমানবাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতিপাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত এ হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার