রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর    

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবিঃ সংগৃহীত

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে সবাইকে এই বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে একটি গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি পল্টন থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবার গণ অধিকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, নতুন করে এটা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধে ৫ আগস্টেই জনগণ রায় দিয়েছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকারের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

Header Ad
Header Ad

সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত

হাসনাতের সঙ্গে দ্বিমত করলেন সারজিস। ছবি: সংগৃহীত

সেনানিবাসে ১১ মার্চের বৈঠক নিয়ে নতুন করে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ রোববার সকালে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে ‘১১ মার্চ সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাৎ নিয়ে আমার জায়গা থেকে কিছু সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন’—শীর্ষক একটি স্ট্যাটাসের অবতারণা করেন তিনি। সেখানে হাসনাতের সঙ্গে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করেন তিনি।

সারজিস বলেন, সেদিন আমি এবং হাসনাত সেনাপ্রধানের সাথে গিয়ে কথা বলি। আমাদের সাথে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ আরেকজন সদস্যেরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি যেতে পারেননি। প্রথমেই স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি সেদিন সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারের সাথে যখন প্রয়োজন হতো তখন মেসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো।

সারজিস লেখেন, যেদিন সেনাপ্রধান পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে অনেকটা কড়া ভাষায় বক্তব্য দিলেন এবং বললেন ‘এনাফ ইজ এনাফ’ তখন আমি সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইসরকে জিজ্ঞাসা করি আপনাদের দৃষ্টিতে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দেখছেন কিনা? সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলনামূলক straight-forward এবং harsh মনে হচ্ছে। তিনি আমাকে বললেন, তোমরা কি এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাও? আমি বললাম- বলা যেতে পারে। এরপরে সেদিন সেনাপ্রধানের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয় । সেনাভবনে সেই রুমে আমরা তিনজনই ছিলাম। সেনাপ্রধান, হাসনাত এবং আমি।

মানুষ হিসেবে যেকোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তির অভিমতকে একেকজন একেকভাবে অবজার্ভ করে। হাসনাত সেদিন তার জায়গা থেকে যেভাবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অবজার্ভ ও রিসিভ করেছে এবং ফেসবুকে লিখেছে আমার সেক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিমত আছে।

সারজিসের ভাষ্য, আমার জায়গা থেকে আমি সেদিনের বক্তব্যকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ দেয়ার আঙ্গিকে দেখি না বরং ‘সরাসরি অভিমত প্রকাশের’ মতো করে দেখি। ‘অভিমত প্রকাশ’ এবং ‘প্রস্তাব দেওয়া’ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও পূর্বের তুলনায় সেদিন সেনাপ্রধান অনেকটা স্ট্রেইথ-ফরোয়ার্ড ভাষায় কথা বলছিলেন । পাশাপাশি ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের জন্য ‘চাপ দেওয়ার’ যে বিষয়টি এসেছে সেখানে ‘চাপ দেয়া হয়েছে’ এমনটি আমার মনে হয়নি। বরং রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ না আসলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটা তিনি অতি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছিলেন।

সারজিস আরও লেখেন, হাসনাতের বক্তব্যে যে টপিকগুলো এসেছিল, যেমন- “রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ, সাবের হোসেন, শিরিন শারমিন চৌধুরী, সোহেল তাজ; এসব নিয়ে কথা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে কিনা, এই ইলেকশনে আওয়ামী লীগ থাকলে কী হবে, না থাকলে কী হবে, আওয়ামীলীগ এই ইলেকশন না করলে কবে ফিরে আসতে পারে কিংবা আদৌ আসবে কিনা এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল। এসব সমীকরণে দেশের উপরে কী প্রভাব পড়তে পারে, স্থিতিশীলতা কিংবা অস্থিতিশীলতা কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেসব নিয়ে কথা হয়েছিল।

কিন্তু যেই টোনে হাসনাতের ফেসবুক লেখা উপস্থাপন করা হয়েছে আমি মনে করি- কনভারসেশন ততটা এক্সট্রিম ছিল না। তবে অন্য কোনো একদিনের চেয়ে অবশ্যই স্ট্রেইথ-ফরওয়ার্ড এবং সো-কনফিডেন্ট ছিল। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের ইলেকশনে অংশগ্রহণ করা যে প্রয়োজনীয় সেই বিষয়ে সরাসরি অভিমত ছিল।

সারজিস সেদিনের বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, আলোচনার একপর্যায়ে বলি- যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কীভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে,’ ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি।

সারজিসের কথায়, এই কনভারসেশনটা হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু আমাদের রুমে বসে হওয়া কনভারসেশন হঠাৎ এককভাবে শেষ করে যখন সেনাপ্রধান উঠে দাঁড়ালেন এবং রুম থেকে কথা বলতে বলতে বের হয়ে এসে যখন আমরা গাড়িতে করে ফিরবো তার পূর্বে বিদায় নেয়ার সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই কনভারসেশন হয়েছে। সেনাপ্রধান রেগে যাওয়ার সুরে এই কথা বলেছেন বলে আমার মনে হয়নি বরং বয়সে তুলনামূলক বেশ সিনিয়র কেউ জুনিয়রদেরকে যেভাবে অভিজ্ঞতার ভারের কথা ব্যক্ত করে সেই টোন এবং এক্সপ্রেশনে বলেছেন।

‘হাসনাত না ওয়াকার’ এই ন্যারেটিভ এবং স্লোগানকে সারজিস প্রত্যাশা করেন না বলেও স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হাসনাতের জায়গা ভিন্ন এবং সেনাপ্রধান জনাব ওয়াকারুজ্জামানের জায়গাও ভিন্ন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টি অন্যান্য রাজনৈতিক দল কিংবা জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো কখনও প্রাসঙ্গিক নয়। পাশাপাশি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ নিয়ে যে কথা দুই-এক জায়গায় আসছে সেটিও আমাদের বক্তব্য নয়।

এরপর স্ট্যাটাসের একপর্যায়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করেন সারজিস। তিনি বলেন, আমি ভুল হতে পারি কিন্তু এই মুহূর্তে আমার এটিই সঠিক মনে হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ না কেউ যোগাযোগ রক্ষা করে। সেই প্রাইভেসি তারা বজায় রাখে। আমাদের সাথে সেনাপ্রধানের যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে সেগুলোর সাথে আমাদের সরাসরি দ্বিমত থাকলেও আমরা সেগুলো নিয়ে আমাদের দলের ফোরামে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারতাম, সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, সে অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারতাম। কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সনের বিরুদ্ধে এখনকার মতই রাজপথে নামতে পারতাম। অথবা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো সরাসরি আমাদের সাথে ঐক্যমতে না পৌঁছালে আমরা শুধুমাত্র আমাদের দলের পক্ষ থেকেই এই দাবি নিয়ে রাজপথে নামতে পারতাম।

কিন্তু যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যেকোনো স্টেকহোল্ডারের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে।

আমার এই বক্তব্যে আমার সহযোদ্ধা হাসনাতের বক্তব্যের সাথে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দ্বিমত এসেছে। এটার জন্য অনেকে আমার সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমাদের ব্যক্তিত্ব স্রোতে গা ভাসানোর মত কখনোই ছিল না। ছিল না বলেই আমরা হাসিনা রেজিমের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম।

আজও কেউ হাসনাতের দিকে বন্দুক তাক করলে তার সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কমিটমেন্ট আমাদের আছে। কিন্তু সহযোদ্ধার কোনো বিষয় যখন নিজের জায়গা থেকে সংশোধন দেয়ার প্রয়োজন মনে করি তখন সেটাও আমি করব। সেই বিবেকবোধটুকু ছিল বলেই ৬ জুন প্রথম যেদিন শহীদ মিনারে কয়েকজন কোটা প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় তাদের মধ্যে সামনের সারিতে আমরা ছিলাম।

একদম শেষে সারজিস বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের এই বিবেকবোধের জায়গাটুকুই আমাদেরকে সঠিক পথে রাখবে।আত্মসমালোচনা করার এই মানসিকতাই আমাদেরকে আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিয়ে যাবে। জুলাই গণহত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটানো ‘আওয়ামীলীগের যেকোনো ভার্সন’ ও তাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারলেন পাইলট

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স গ্রুপের এক পাইলটের বিরুদ্ধে ইহুদি এক যাত্রী গুরুতরু অভিযোগ এনেছেন। তার দাবি, তিনি কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগছেন। উড়োজাহাজের টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় তাকে বের করে পিটিয়েছেন পাইলট। মেক্সিকোর তুলুম শহর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে যাওয়ার সময় এই ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় গত সপ্তাহে একটি মামলা করেছেন নিউজার্সিতে বসবাসরত ইয়িস রোয়েল লিয়েব নামের ওই যাত্রী। যাতে আসামি করা হয়েছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে (সিবিপি)। ভুক্তভোগী যাত্রী জানান, উড়োজাহাজটি অবতরণের পর তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

লিয়েব ও উড়োজাহাজটিতে থাকা আরেক অর্থডক্স ইহুদি যাত্রী জানান, সিবিপি কর্মকর্তারা তাদের বিমানবন্দর টার্মিনালে আটকে রাখে। তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে। এতে করে তারা নিউইয়র্কের ফ্লাইট ধরতে পারেনি।

এ বিষয়ে সিবিপির অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিল্টন বেকহ্যাম বলেন, ‘উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধের জেরেই ওই দুই যাত্রীকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়।’ বিষয়টি নিয়ে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের মন্তব্য নিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এতে সাড়া দেয়নি।

গত বুধবার ম্যানহ্যাটন ফেডারেল কোর্টে হওয়া মামলায় লিয়েব জানান, গত ২৮ জানুয়ারি তার সঙ্গে ওই ঘটনাটি ঘটে। ফ্লাইটে ২০ মিনিটেরও অধিক সময় ধরে তিনি বাথরুমে ছিলেন। এর মধ্যে একজন বিমানমালা তাকে টয়লেট থেকে বের হতে বলেন। ওই সময় বিমানবালাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের কথা জানান লিয়েব। এর ১০ মিনিট পর এক পাইলট এসে লিয়েবকে দ্রুত টয়লেট ছাড়তে বলেন।

টয়লেট থেকে বের না হওয়ায় একপর্যায়ে পাইলট টয়লেটের দরজার লক ভেঙে ফেলেন। পরে লিয়েবকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করেন। ঘটনাটি এত দ্রুত হচ্ছিল যে লিয়েব প্যান্ট পর্যন্ত পরিধানের সময় পায়নি বলে দাবি করেন তিনি।

মামলায় আরও বলা হয়, আড়াই ঘণ্টা পর হিউস্টন বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করলে সিবিপির আধা ডজন কর্মকর্তা উড়োজাহাজটিতে উঠে। পরে ওই দুই যাত্রীকে আটক করে নিয়ে যায়। লিয়েব বলছে, আমাদের হেফাজতে নিয়ে আমাদের হাতে হাতকড়া পড়ানো হয়। এতে করে আমরা কবজিতে প্রচণ্ড ব্যাথ্যা পাই।

Header Ad
Header Ad

পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত

ছবি: সংগৃহীত

পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিয়েছে ভারত। এ বিষয়ে দেশটির রাজস্ব বিভাগ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

এদিকে একটি প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বলছে, আগামী ১ এপ্রিল থেকে পেঁয়াজের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। দেশটিতে পেঁয়াজের দাম কমার মধ্যে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দেশীয়ভাবে পেঁয়াজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য এবং সরাসরি নিষেধাজ্ঞাসহ প্রায় পাঁচ মাস ধরে রপ্তানি বিধিনিষেধ আরোপের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

এছাড়া পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ছিল। ভারত সরকার বলেছে, এই সিদ্ধান্ত কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বজায় রাখার প্রতি তাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকেই প্রতিফলিত করে।

একটি সরকারি বিবৃতি অনুসারে, ভোক্তা বিষয়ক বিভাগের যোগাযোগের পরে ভারতীয় রাজস্ব বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ভারতের ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “এই সিদ্ধান্ত কৃষকদের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভোক্তাদের কাছে পেঁয়াজের ক্রয়ক্ষমতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশ্রুতির আরেকটি প্রমাণ হিসেবে সামনে এসেছে।”

দ্য হিন্দু বলছে, রপ্তানি শুল্ক ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ছিল। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, চলতি অর্থবছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত মোট পেঁয়াজ রপ্তানি ১.১৭ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। এছাড়া মাসিক পেঁয়াজ রপ্তানির পরিমাণ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ৭২ হাজার টন থেকে বেড়ে

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির কারণে এই ফসলের প্রধান উৎপাদনকারী রাজ্যগুলোতে পেঁয়াজের দাম হ্রাস পেয়েছে। এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁও এবং পিম্পলগাঁওয়ে গত ২১ মার্চ পেঁয়াজের দাম যথাক্রমে প্রতি কুইন্টালে ১৩৩০ রুপি এবং প্রতি কুইন্টালে ১৩২৫ রুপি ছিল।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে পেঁয়াজের সর্বভারতীয় গড় মূল্য ৩৯ শতাংশ কমেছে এবং খুচরা মূল্য ১০ শতাংশ কমেছে। ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমান, এ বছর রবি মৌসুমের পেঁয়াজের উৎপাদন হবে ২২.৭ মিলিয়ন টন, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি।

ভারতের মোট উৎপাদনের ৭০-৭৫ শতাংশ রবি মৌসুমের পেঁয়াজ অক্টোবর-নভেম্বরে খরিফ ফসলের আগমন শুরু না হওয়া পর্যন্ত বাজার স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, “এই মৌসুমে আনুমানিক উচ্চ উৎপাদন আগামী মাসগুলোতে বাজার মূল্য আরও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

দ্য হিন্দু বলছে, অভ্যন্তরীণ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকার এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের আগে ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩ মে পর্যন্ত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন রপ্তানি বিধিনিষেধ কার্যকর করেছিল, তবে সেসব এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত
টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারলেন পাইলট
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত
গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল: জয়শঙ্কর
নামাজরত বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করল ছেলে
নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, তদন্ত কমিটি    
গাজার পর লেবাননেও ইসরায়েলী হামলা  
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস  
টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুর্ভোগে যাত্রীরা  
রাজধানীর সড়কে বসছে ‘রিকশা ট্র্যাপার’    
ঐকমত্য কমিশনের কাছে প্রস্তাব, দুপুরে যাচ্ছে বিএনপি-এনসিপি  
সুন্দরবন পুড়ছে, পানির উৎস নেই কাছে  
ঈদের আগে ও পরে ৬দিন মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্ধ  
রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবি: ৪ জনের লাশ উদ্ধার, বিজিবি সদস্যসহ নিখোঁজ অনেকে
বিদ্রোহী ১৮ নারী ফুটবলার অবশেষে ফিরছেন ক্যাম্পে
সেবার বিনিময়ে ‘উপহার’ নিতে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
নাইজারে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর জঙ্গি হামলা, নিহত ৪৪
জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ, এবার প্রকাশ্যে জুয়ার প্রচারে সাকিব
সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে: তারেক রহমান