বেগম জিয়ার পাঁচটি জন্মতারিখ: ড. হাছান মাহমুদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মতারিখ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার জন্মের তারিখ যেমন ঠিক নেই, পুরস্কারের তারিখও ঠিক নেই, পুরস্কারে দাতাদের ওয়েবসাইটেও তার নাম নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেগম জিয়ার জন্মতারিখ পাঁচটা, বিবাহ রেজিস্টারে একটা, পাসপোর্টে একটা, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্রেডেনশিয়ালসে একটা, ম্যাট্রিকুলেশনে যেটাতে তিনি ফেল করেছেন সেখানে একটা, আবার কোভিড সনদে একটা। আবার তিনি পুরস্কার পেয়েছেন ৩১ জুলাই ২০১৮, আর জানা গেল ২০২২ সালে। আর যে সংস্থা থেকে সেই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, তাদের ওয়েবসাইটে আবার তার নাম নেই। এ ধরনের তেলেসমাতি দেখার পর জনগণ যখন তাদের নিয়ে হাসছে, তখন বেগম জিয়ার সভাসদরা উদ্ভ্রান্তের মতো কথা বলছেন।’
সার্চ কমিটি সম্পর্কে বিএনপি বক্তব্যকে সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির উন্মেষটাই তো ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আর মানুষের লাশের উপর দিয়ে। তারা সবসময় ষড়যন্ত্রের মধ্যেই থাকেন বলে সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র দেখতে পান।’
পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও সার্চ কমিটির মাধ্যমে এত স্বচ্ছতার সাথে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বরং অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন করা হয়েছে এবং সেই কমিটি কাজ শুরু করেছে। নির্বাচন কখনো সরকারের অধীনে হয় না, নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের একজন কনস্টেবল বদলির ক্ষমতাও সরকারের হাতে থাকে না। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এগুলো ভালো করেই জানেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন বলেই এসব কথা বলছেন। তাদের না বলার বাতিক নিয়ে আমি শঙ্কিত।’
এর আগে বিআইসিসি হলে আহবাবুল কোরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২১ এর গ্র্যান্ড ফিনালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।
এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা আলেম সমাজকে ধোঁকা দিয়েছে, তাদের শিক্ষাপদ্ধতির স্বীকৃতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করেছে, তাদেরকে না বলতে হবে। আর যারা আলেমদের জন্য কাজ করেছে, প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে, তাদেরকে হ্যাঁ বলতে হবে।’
শায়েখ হাফেজ কারী আব্দুল হকের সভাপতিত্বে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী দোয়া পরিচালনা করেন এবং আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান ও মাওলানা উবায়দুর রহমান অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী।
এপি/এসএ/