মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আগ্রহী আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ

সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাংলা স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল এস’-এর মতামতভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘অভিমত’-এ গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির সঙ্গে ঐক্যের সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংকট মোকাবিলা ও ঐক্যের বার্তা: অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বুলবুল হাসানের প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতেও সংকট মোকাবিলা করেছে এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের প্রতি বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং টানা চারবার ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের বিপর্যয় ইতোপূর্বেও ঘটেছে, কিন্তু আমরা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি।”

জাতীয় সংকটে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা: ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিএনপির অনেক বক্তব্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগ একমত। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১/১১-এর সময় বিএনপির সঙ্গে মিলে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে শরিক হয়েছিল। বর্তমানেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর অনেক বক্তব্য, যেমন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি, আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে গেলে দেশের গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে একযোগে কাজ করার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা ও রাজনৈতিক সংকট: বিএনপি কর্তৃক ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দলকে কাগজে কলমে নিষিদ্ধ করলে তার কার্যকারিতা নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা অলীক কল্পনা।” তিনি আরও বলেন, “যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেই দলকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা কেবল বিভ্রান্তিকর।”

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার: ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতীয় নেতাদের হত্যা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিও এ ধরনের ষড়যন্ত্রের ফসল।” পুলিশি নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আত্মরক্ষার অধিকার পুলিশের রয়েছে, এবং সেক্ষেত্রে সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হবে।”

রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাই আওয়ামী লীগের প্রাণ এবং দলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। বিদেশে আওয়ামী লীগ কোনো প্রবাসী সরকার গঠনের চিন্তা করছে না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য বার্তা: দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগ পরপর চারবার ক্ষমতায় এসেছে এবং কঠিন সময়ও অতিক্রম করেছে। নেতাকর্মীদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই; শেখ হাসিনা দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল এবং তার মনোবল চাঙ্গা রয়েছে।” তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “এই সংকটময় সময়ও কেটে যাবে, এবং সহসা দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে।”

রাষ্ট্র পরিচালনা ও ভুলের স্বীকারোক্তি: সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “দায়িত্বে থাকলে ভুল হবেই, এটিই স্বাভাবিক। আমরাও বিভিন্ন সময়ে ভুল করেছি। কিন্তু ভুল থেকেই শিক্ষা নেওয়া উচিত, এবং সেখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।”

এই আলোচনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার হলো যে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করতেও দলটি প্রস্তুত।

Header Ad

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি যে চারটি বিদেশি ভাষা ঠাঁই পেয়েছে, সেসবের একটির নাম বাংলা। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন্সের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য শাখার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র খবর অনুযায়ী, নিউইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে বাংলাও রয়েছে। নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলাই প্রথম ছাপা হলো।

নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জে রায়ান বলেন, ‘অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশন্স নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরিয়ান ও বাংলা।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যটি অধিবাসী অধ্যুষিত। দেশটির মোট অভিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন নিউইয়র্ক সিটিসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে।

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গোটা নিউইয়র্কে ২ শতাধিক ভাষায় কথা বলেন লোকজন। এসবের মধ্যে হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাও রয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র বাংলাকে।

ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মাইকেল জে রায়ান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে (ব্যালট পেপারের জন্য) অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে বাদ দিয়ে শুধু বাংলাকে বেছে নেওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী ভারতীয়রা হয়ত মনোক্ষুণ্ন হয়েছেন, কিন্তু এটা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।’

উল্লেখ্য, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার অধিকার আইন, ১৯৬৫’-এর আওতায় দুবছর আগে একটি মামলা করা হয়েছিল নিউইয়র্কের আদালতে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিউইয়র্কে যেসব অঞ্চলে অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি, সেসব অঞ্চলে ইংরেজির পাশাপাশি অন্তত একটি অভিবাসী ভাষায় ব্যালট পেপার প্রদান করা হোক। পরে নিউইয়র্কের রাজ্য প্রশাসন ও মামলাকারী- দু’পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এই চার ভাষায় ব্যালট পেপার প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়।

Header Ad

প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা

সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১৮ বছরের হতে যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। এরমধ্যে দুটি সংস্করণ থেকে অবসরও নিয়ে ফেলেছেন এই অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারের এই লম্বা সময়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে খেলে বেড়ালেও বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি। শেষ বেলায় ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে গিয়ে ত্রুটি ধরা হয়েছে তাঁর বোলিং অ্যাকশনে।

এবার ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফো জানিয়েছে, প্রশ্নবিদ্ধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য সাকিবকে তার বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করতে বলেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ম্যাচে। গত সেপ্টেম্বরে ডিভিশন-১ এ সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ম্যাচ থাকায় সারের ৮জন খেলোয়াড় ছিলেন না। সেই তালিকায় ছিলেন দুই স্পিনার উইল জ্যাকস ও ড্যান লরেন্স। তাই সারের জন্য একটি ম্যাচ খেলেন সাকিব।

এই ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক যুগ পর কাউন্টি ক্রিকেটে ফেরেন সাকিব। ২০১১-১২ মৌসুমে ওরচেস্টারশায়ারের হয়ে খেলেছিলেন এই বাঁহাতি। টনটনে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট শিকার করে স্মরণীয় করে রাখেন। তবে ম্যাচটা তার দল ১১১ রানে হেরে যায়।

সেই ম্যাচে সাকিব দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৩ ওভার বল করলেও একটি ‘নো বল’ ও ডাকেননি ফিল্ড আম্পায়াররা। তবে সেই ম্যাচের প্রায় দুই মাস পর জানা গেছে, ওই সময় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন সেই ম্যাচের দুই ফিল্ড আম্পায়ার।

তবে আপাতত সাকিবকে মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে না। সাকিবকে নিষেধাজ্ঞা বা কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি। তবে বোলিং অ্যাকশনের শুদ্ধতার পরীক্ষা দিতে হবে তাকে। যা নিয়ে আলোচনাও শুরু করেছেন সাকিব। এমনটাই জানিয়েছে ইএসপিএন-ক্রিকইনফো। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেবেন সাকিব।

Header Ad

যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই নির্বাচনকে ঘিরে দুই প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।

মার্কিন নির্বাচনের পদ্ধতি অন্য অনেক দেশের চেয়ে আলাদা। এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’। ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ নামের এই ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত হন। তারাই নির্ধারণ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ইলেকটোরাল কলেজে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নির্দিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ মিলিয়ে রাজ্যটির যত প্রতিনিধি, সেটাই হলো তার ইলেকটরদের সংখ্যা।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা নির্ভর করে রাজ্যটির জনসংখ্যার ওপর। অপরদিকে সিনেটে প্রতি রাজ্যের দুটি করে আসন থাকে। সব মিলিয়ে ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেন্টেটেটিভ এবং সেই সঙ্গে ১০০ জন সিনেটর। এ ছাড়া ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার তিনজন ইলেকটর। সব মিলিয়ে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সংখ্যা ৫৩৮টি।

জনসংখ্যার দিক থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বেশি ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। অপরদিকে ভারমন্টের সর্বসাকুল্য তিনটি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।

নির্বাচনে জিততে হলে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে।

মেইন আর নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে ‘উইনার টেকস অল’ ভিত্তিতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে রাজ্যে এগিয়ে থাকবেন, তিনি সেই রাজ্যের সব কজন ইলেকটরের সমর্থন পাবেন।

প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে সংবিধান অনুযায়ী তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রার্থীকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হয়, বয়স হতে হয় অন্তত ৩৫ বছর এবং ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হয়। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য শেষ শর্তটির ব্যতিক্রম রয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো নাগরিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এমনকি অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরও প্রার্থী হতে বাধা নেই৷ রাজনৈতিক বন্দীরা যাতে প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে আলাদা বিধান রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে রাজনৈতিক পদে থাকা ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যুক্ত হলে বা শত্রুদের সহায়তা করলে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না।

প্রাইমারি ও ককাস কী?

নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দান উন্মুক্ত থাকলেও প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে দলগুলো তাদের প্রার্থী বাছাই করে। নির্বাচনী বছরের বসন্তের শুরুর দিকে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্বাধীনভাবে কেউ প্রার্থী না হলে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অধীনে তাকে নিজ অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধন করতে হয়।

প্রাইমারিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ককাস প্রক্রিয়াটি আরও জটিল। এ জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একত্রিত হন। সেখানে তারা ভোটাভুটির মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী বাছাই করেন।

অঙ্গরাজ্য ও দলভেদে প্রাইমারি ও ককাসের ভিন্নতা থাকলেও মূল লক্ষ্য একই। প্রার্থীর সমর্থন নির্ধারণ ও সাধারণ নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থী বাছাই করা।

জাতীয় কনভেনশনের ভূমিকা:

অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারি ও ককাস শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় কনভেনশনের (সম্মেলন) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করে।

কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য থেকে আসা ডেলিগেটরা (প্রতিনিধি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেন। একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হয়।

ডেলিগেটদের মধ্যেও দুটি ভাগ রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের ক্ষেত্রে বলা হয় প্লেজড বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আনপ্লেজড বা অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে বাউন্ড বা বাধ্যতামূলক এবং আনবাউন্ড বা বাধ্যতামূলক নন। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক ডেলিগেটরা অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারিতে জিতে আসা প্রার্থীদেরই শুধু ভোট দিতে পারেন।

অন্যদিকে অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক নন এমন ডেলিগেটরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। ডেমোক্র্যাট কনভেনশনে অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডেলিগেটরা দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই শুধু ভোট দিতে পারেন৷

নির্বাচনে কী হয়?

জাতীয় কনভেনশনের পরই নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হয়। নির্বাচনের দিনে দেশজুড়ে কয়েক হাজার শহরে ভোটগ্রহণ চলে। নিবন্ধিত যেকোনো মার্কিন নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
ইসলামি মহাসম্মেলন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার
গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিহত আরও ৩৩
মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা
আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
বদলগাছিতে মাইক্রোবাস থেকে ককটেল নিক্ষেপ, ৬টি উদ্ধার
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আগ্রহী আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ বন্ধ, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ৪০ হাজার কোটি ঋণ পরিশোধ
টাঙ্গাইলে ৩৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গণপিটুনিতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে নিহত
মেগা চুরির জন্য আওয়ামী লীগকে আরেকবার দরকার: নির্মাতা ফারুকী
বিরামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় দুই যুবক নিহত
পদে পুনর্বহালের দাবিতে ১০ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের একক কণ্ঠে আন্দোলন
ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি