সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে যা জানালেন মেজর হাফিজ
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনের দুই মাস আগে সেনাবাহিনীর সাবেক কয়েকজন সহকর্মী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দেওয়ার জন্য বাসায় নিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বনানীতে নিজের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে হাফিজ উদ্দীন ও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনকে কাল্পনিক ও কাহিনি বলে দাবি করেন হাফিজ উদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন। সাকিব রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। আমি বলেছি রাজনীতি করাটা তোমার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে তুমি এখনও খেলাধুলা করছো। উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়....।’
বিএনএম গঠনের সময় নিজের উপর ‘সরকারি চাপ’ প্রসঙ্গে হাফিজ বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের চাপ বাড়তে লাগলো। সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ঘোষণাই দিয়ে দিলেন, হাফিজ উদ্দীন নতুন দল গঠন করবেন। আমি বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছি। এরপর নির্বাচনের দুই মাস আগে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি, বিএনএম বা অন্য দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নাই। শেষ পর্যন্ত এই দলেই থাকবো। বর্তমানে আমি অবসরের চিন্তা করছি। শারীরিকভাবে অসুস্থ।’
নিজেকের ‘ওপেন বুক’ উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, ‘আমার সবকিছু ওপেন। আমি তো গোপনে কিছু করিনি। আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক।’
তিনি আরও বলেন , ‘আমার কিংস পার্টি করার দরকার নাই। এতদিন পর দুটি পত্রিকা সেলিব্রেটি সাকিবকে জড়িয়ে যে মিথ্যা কথা রচনা করেছে, তাতে আমি মর্মাহত হয়েছি।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাফিজ উদ্দীন বলেন, ‘বিএনএমের সাধারণ সম্পাদক তাকে (সাকিব আল হাসান) নিয়ে এসেছিলেন। জনগণের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নাই তাদের। তারাই সরকারের আনুকূল্যে দল করেছে। চার-পাঁচজন লোক। ওইটা বিএনএমের ফরম ছিল সম্ভবত।’ এই চার-পাঁচ জন পূর্ব পরিচিত বলেও জানান তিনি।
‘সাকিবকে সেদিনই অনুৎসাহিত করেছি। আমিও তাকে বলেছি। আমি তো পরেরদিনই প্রতিবাদ করেছি, যে বিএনএমে যোগ দেবো না।’ বলেন আরেক প্রশ্নের উত্তরে হাফিজ উদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘দল (বিএনপি) সম্পর্কে কখনোই অসৌজন্য বক্তব্য দিইনি আমি।’
বিএনপিনেতা হাফিজ বলেন, ‘বিএনএম গঠনের সময় বিএনপির বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য আমাকে বলেছিল— তারা বিএনএমে যাবে কিনা। আমি তাদেরও নিরুৎসাহিত করেছি।’