দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে : কাদের
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে টাস্কফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির সুযোগ সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির মানসপটে যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটেছিল, বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সেই আদর্শ ও চেতনাবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। যে কারণে তারা সর্বদাই মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শভিত্তিক গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতারা আজ সরকারবিরোধী সমালোচনার নামে মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের বাক্যালাপে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও বিএনপি তাদের অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসেনি। সরকার নয়, বরং বিএনপিই একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গণতন্ত্র ও জনগণের উপর জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসেছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের আয় বাড়েনি বলে বিএনপির এক নেতা নিলর্জ্জ মিথ্যাচার করছে। অথচ ২০০৬ সালে বিনএপি-জামায়াত শাসনামলে মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৫ গুণের বেশি। বিএনপির আমলে মঙ্গা-খরা ও দুর্যোগে না খেতে পেয়ে মানুষকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হতো, অর্ধাহারে- অনাহারে দিনাতিপাত করতে হতো। আর সেখানে বাংলাদেশ আজ সামগ্রিক খাদ্য উৎপাদন কয়েক গুণ বৃদ্ধিতে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার আমলে কেউ না খেয়ে মারা যায় না; বরং গৃহহীন মানুষেরও গৃহ ও খাদ্যের সংস্থান করা হয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত বিএনপি নেতারা দেখতে পায় না। তারা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কথা বলে না; গায়ের জোরে মিথ্যাচার করে, অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। একইভাবে তারা দ্রব্যমূল্য নিয়েও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।