ইসি গঠন আইন গণবিরোধী: গণঅধিকার পরিষদ
বিরোধী রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামতের কোনো সুযোগ না রেখে সরকারি দলের পছন্দ মতো নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্যই এ আইন পাস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে এ আইনকে গণবিরোধী বলেও দাবি করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার আইন বিল ২০২২’ পাসের পর শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আরামবাগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলের নেতা-কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংসদে পাস করা আইনে বিগত দুটি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়মুক্তির বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে 'সার্চ কমিটি'র মাধ্যমে গঠিত গত দুটি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে যে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
পাস হওয়া আইন প্রসঙ্গে দলের নেতা-কর্মীরা বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের ঐক্যমত ব্যতীত নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে তাতে জনমতের চাওয়া প্রতিফলিত হবে না। বরং বিতর্কিত দুটি কমিশনের মতোই হবে। নতুন আইনটিতে সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামতের সুযোগ না রেখে শুধু সরকারি দলের এবং তাদের নিয়োগ দেওয়া কতিপয় ব্যক্তির মতামতের বিধান রাখা হয়েছে। যেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না। যা নির্বাচনী সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে।
এ আইনকে গণবিরোধী বলে উল্লেখ করে, গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত মনে করে গণঅধিকার পরিষদ। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক ঐক্যমতের উপর জোর দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় দলটি।
ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ অনস্বীকার্য। তাই, দেশের চলমান রাজনৈতিক ও নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানায় দলটি। এ ছাড়া সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবার অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের কাছে দাবি জানায়।
এসএম/এসএন