কিশোরগঞ্জের ৩টি আসনে নৌকার মাঝি হলেন রাষ্ট্রপতির সন্তানেরা
ছবি: সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এতে কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের তিনটিতেই আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়েছেন সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সন্তানেরা।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তিনি।
এবার কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নির্বাচিত হলেও শপথ নেওয়ার পূর্বে ৩ জানুয়ারি তিনি মারা যান। ফলে কিশোরগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য হয়ে যায়। উপনির্বাচনে জাকিয়া নূর লিপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এবার দ্বিতীয় বারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেলেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। ২০১৩ সালে আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে এ আসনে উপনির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে তার বড় ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। এরপর থেকে আসনটি তার দখলে রয়েছে। এর আগে, শতভাগ হাওর অধ্যুষিত এই আসনে সাতবারের এমপি ছিলেন সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নৌকা মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ২০০৯ সালে দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তার ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
কিশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনে তিনটিতে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন তিন রাষ্ট্রপতির সন্তানেরা। তারা প্রত্যেকেই যোগ্য ও দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ৩ হাজার ৩৬২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী। মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলটির আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।