তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে ভূত হয়ে গেছে: বিএনপিকে কাদের

ছবি সংগৃহিত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক মরে ভূত হয়ে গেছে। জানুয়ারিতে বিএনপির বিপক্ষে আমরা ফাইনাল খেলব। এবার খেলা হবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরিয়া ভূত হয়ে গেছে। এগুলো মাথা থেকে নামান। নয়ত এই ভূতে বিএনপি শেষ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। এই তত্ত্বাবধায়ক আর কোনোদিন চোখ মেলবে না।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব তত্ত্বাবধায়ক বলতে বলতে শেষ। দুই সেলফিতে আপনাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতে এক সেলফি, এরপর নিউইয়র্কে আরেক সেলফি। দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। খেলা তাহলে হবে। বিএনপির হাতে আর সময় নেই। তাদেরকে ৩৬ দিন সময় দিয়েছি। ৩৬ দিন পার হলে দেখি কার গায়ে কত বল। কই অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে—ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবে ?
নারায়ণগঞ্জের এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, জনগণ তাদের জবাব দেবে। আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়িয়ে দেব, লাঠি নিয়ে এলে হাত ভেঙে দেব।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের কী জানে? তারা জানে শুধু মানুষ খুন, লুটপাট আর ভোটচুরি। তাদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ আর ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে না। বিএনপি থেকে সাবধান।
কাদের বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে গেল, মেট্রোরেল হয়ে গেল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেল। একদিনে এক শ’ সেতুর উদ্বোধন হয়ে গেল। এসব দেখে বিএনপির এখন শুধু জ্বালা আর জ্বালা, অন্তরে জ্বালা। বিএনপি তাদের আমলে শুধু খাম্বা দিয়েছে, বিদ্যুৎ দেয়নি। এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি ফখরুল বলেন- শেখ হাসিনা ঘুরাঘুরি করেন। শেখ হাসিনা কোথায় গেছেন। জি-২০ তে। কী সম্মান নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন! নিউইয়র্কে গিয়েছেন, কী সম্মান পেয়েছেন! শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। দেশের প্রয়োজনেই তিনি বাইরে যান। তিনি ব্রাসেলসে যাচ্ছেন আমন্ত্রণে। তিনি যাচ্ছেন দেশের জনগণের জন্য।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দিলে কেমন হবে? রূপপুর থেকে কিছু ইউরেনিয়াম এনে ফখরুলের মাথায় ঢেলে দেব। বিদেশ নিয়ে কথা বলতে ফখরুলের কি লজ্জা করে না? ফখরুলের পাখা গজিয়েছে। এই পাখা উড়ে যাবে। আর বিএনপি আমাদের শত্রু ভাবে। আমরা তাদেরকে বন্ধু ভাবতে যাব কেন?
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই সমস্যা থাকবে না। সবকিছুর দামই কমে আসবে। আপনারা কেউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝবেন না। তিনি রাতে তিন ঘণ্টা ঘুমান। শেখ হাসিনা না থাকলে দেশ অন্ধকার হয়ে যাবে। আপনারা ভোটের মাধ্যমে তাকে প্রতিদান দেবেন। দল কাকে মনোনয়ন দিবে তা দলের বিষয়। তবে এখানকার নেতাকর্মীদের নৌকা প্রতীকের যে দাবি তা অবশ্যই কেন্দ্রে জানাব।
এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জের কমিটিগুলো দিতে স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নামক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত মো. শহিদ বাদল, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা প্রমুখ।
