আদম তমিজি হক পাসপোর্ট পুড়িয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে (বামে) নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হক। ছবি: সংগৃহীত
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে নিয়ে ব্যবসায়ী হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা আদম তমিজি হকের ফেসবুক স্ট্যাটাস ও লাইভ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আদম তমিজি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, “প্রিয় শুভাকাঙ্খী, অনেকেই আপনারা এতদিন আমাকে ‘চুতিয়া’ ভেবেছেন। প্রয়োজনে আজই আমি আমার ক্ষমতার আংশিক রূপ দেখাতে পারি। আমি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে নামাতেও পারি। সুতরাং আমার সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ানোর আগে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।”
এরপর আরও একটি স্ট্যাটাস দেন আদম তমিজি হক। সেখানে তিনি নাম উল্লেখ না করে লিখেছেন, ‘প্রিয় নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী), আমি এবং আমার দ্বিতীয় স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকার পথে। বাকি পারিবারিক সদস্যরা আজকে রাতে রওনা করবে এবং সকালে পৌঁছাবে। এমপি রাসেল এবং তার চাচার ভয়ানক থাবা থেকে আমরা আমাদের রিজিক বাঁচানোর লক্ষ্যে আসতেছি।’
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে আদম তমিজির ফোনে কল দিয়ে ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তমিজি হকের ওই স্ট্যাটাস ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
তমিজি হকের অভিযোগ, গাজীপুরে টঙ্গীতে হক গ্রুপের কারখানা দখলের জন্য প্রতিমন্ত্রীর চাচা স্থানীয় মতিউর রহমান মতি এবং হক গ্রুপের বরখাস্তকৃত চিফ অপারেশনাল অফিসার (সিওও) মোশফাকুর রহমান রোমেল মিলে ষড়যন্ত্র করছেন। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে টঙ্গীতে হক গ্রুপের টঙ্গীর কারখানায় তার ফেসবুকে একটি জরুরি সালিশি সভা এবং সংবাদ সম্মেলনের কথা জানিয়েছেন আদম তমিজি হক।
শুক্রবার রাতে আদম তমিজি হক তাঁর ফেসবুকে লাইভে বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী রাসেলের পিতা একজন ভালো মানুষ ছিলেন।’ লাইভে রাসেল, তাঁর চাচা মতি এবং কাউন্সিলর নুরুর নাম নেন আদম তমিজি হক। লাইভে থাকা অবস্থায় তিনি প্রতিমন্ত্রী রাসেলকে গালাগাল করেন তিনি।
ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এদেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জানা গেছে, রোববার এই ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে বসে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির বাসায় অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে তামিজী হককে বহিষ্কারের বিষয়ে মত দেন মহানগরের নেতারা।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।