নির্বাচনের আগে মাঠ খালি করছে সরকার: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রতিদিন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এটা ইঙ্গিত দেয় যেভাবেই হোক তারা বিরোধীদলকে মাঠ থেকে সরিয়ে আবারও ক্ষমতায় যাবে। এটাই একমাত্র লক্ষ্য।রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রধানের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নির্যাতন থেকে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও রেহাই পাচ্ছেন না। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি দেশের বিশিষ্ট লেখক ও খ্যাতিমান সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আজ্ঞাবহ আদালত।
প্রতিদিন দেশজুড়ে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কিছু পুলিশ সদস্য মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৯ আগস্ট) নিখোঁজ হওয়া ছাত্রদলের ছয় নেতার প্রসঙ্গ তুলে ফখরুল বলেন, ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজকে অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে।
ছাত্রদলের ছয় নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে নির্বাচনের আগে অস্ত্র জমা করছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ফখরুল বলেন, এগুলো তারা করছেন যেন আরও বেশি করে করতে পারে সেজন্য এসব বলছে। এটা তো নতুন নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন সন্ত্রাসের কথা। কিন্তু সন্ত্রাসটা কোথায় হলো? অস্ত্র তাদের হাতে, আইন তাদের হাতে। এগুলো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
ছাত্রদলের নেতাদের নিয়ে পুলিশের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ বানোয়াট আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, এগুলো ডাহা মিথ্যা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জে জি কে গউসের বাসায় নেতাকর্মীরা আশ্রয় নিলে সেখানেও পুলিশ গুলি করেছে। আহতদের হাসপাতালে যেতে বাধাও দেওয়া হয়।
ফখরুল বলেন, অবৈধ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে একদিকে দেশের নিরীহ গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর তার নিজস্ব বাহিনী দ্বারা গুলি করে হত্যা, গুম, খুনসহ সকল প্রকার নির্যাতন চালাচ্ছে। এই থেকেই বোঝা যায় সরকার বিরোধী মতের আন্দোলনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এই সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ভারতের বার্তা বিএনপি ভয় পেয়েছে, সরকারি দলের নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, আমরা তো আন্দোলনে আছি। এই রিপোর্ট নিয়ে অথেনটিক কিছু এখনও দেখছি না।
চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে আছেন। তার চিকিৎসা চলছে। আন্দোলনের কর্মসূচি যখন দেওয়া হবে আপনাদের জানানো হবে।
সামনের দিনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও সহিংসতার দিকে যাচ্ছে কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, সরকার কী চায় তার ওপর নির্ভর করবে। আমরা যে দাবি করেছি সরকারকে সেই দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকার নিজেরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি।
