খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার দাবি ড্যাবের

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে ‘আশঙ্কাজনক’ দাবি করে অবিলম্বে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও সরকার কর্তৃক উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়াকে দেশে চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কিছু অবশিষ্ট নেই। তাঁর চিকিৎসায় যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার, সেগুলো দেশে নেই।আমরা অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ড্যাব নেতারা বলেন, শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও খালেদা জিয়া কার্যত কারাবন্দী। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নানা রোগে আক্রান্ত। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। চার বছর যথাযথ চিকিৎসা হয়নি। কারাগারে তিনি অনেক নতুন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হার্ট, লিভার, কিডনি ও চোখের সমস্যা ছাড়াও পুরোনো আর্থ্রাইটিস এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও কোভিড-পরবর্তী জটিলতায় বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
বিবৃতিতে ড্যাবের নেতারা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দল অসুস্থতার যে বিবরণ দিয়েছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মনে করি, দেশের একজন শীর্ষ রাজনীতিক, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, একজন নারী এবং জেলবন্দী ব্যক্তির যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ। আদালতের মাধ্যমে তাঁকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দিয়ে অতিসত্বর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আমরা।’
৯ আগস্ট থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন।
