মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সরকারের সময় শেষ: মির্জা ফখরুল

বর্তমান সরকারের সময় শেষ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আজকে এই অবস্থা যতই চিল্লা-চিল্লি করেন, যতই জাপান, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা আর সৌদি আরব, কাতার, চীনে যান- কোনো লাভ হবে না। সময় শেষ। এটাই বাস্তবতা।

শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি বলতে চাই- এখনো সময় আছে জনগণের চোখের ভাষা পড়ুন, জনগণকে মুক্তি দেন এবং জনগণের যে দাবি উঠেছে সেই দাবি মেনে নেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, উপর থেকে নেমে আসুন। এই গণভবন থেকে বের হন, পাইক-পেয়াদা, মোরকেনদাজ, এসএসএফ, সোয়াত এগুলো বাদ দিয়ে এই মানুষের সামনে এসে দাঁড়ান। দেখুন তারা কী বলে আপনাদের। মানুষের চোখের ভাষা বুঝুন। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মানুষ আর বাঁচতে পারছে না।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলতে চাই, এই সরকার দেশে-বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে। এখন দেশের মানুষ, গণতান্ত্রিক বিশ্ব চায় এখানে একটা সুষ্ঠু, সঠিক, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক এবং সেটা তারা জানেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সম্ভব হবে না। তাই বলতে চাই, আপনারা দয়া করে এমন অবস্থা তৈরি করবেন না সেখানে আপনারাও চিহ্নিত হয়ে যাবেন।

নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন, আর কিছু দিন কষ্ট করতে হবে। এই সরকারকে টেনে না নামালে এরা যাবে না। সেজন্য আমাদেরকে সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, ব্যক্তি-সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার গণআন্দোলন সৃষ্টি করে ঝড়ের মতো…জনতার উত্তাল তরঙ্গ পরাজিত করতে হবে। আজকের এই সমাবেশ শুধু সভা নয়, এই সভা আপনাদের শপথ নেওয়ার সভা। আমাদের জীবনকে বাজি রেখে এই দেশকে মুক্ত করবার জন্য, এই দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের আজকে একটা যুদ্ধে নেমে পড়তে হবে। সেই যুদ্ধ আমাদের নিজেদের বাঁচানোর যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ জাতিকে বাঁচানোর যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যুদ্ধ। আসুন আমরা সেই শপথ নিয়ে এই আন্দোলনে আরও বেগবান করি এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ডাক দিয়েছেন- ‘ফয়সালা হবে কোন পথ, রাজপথে’, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ করার জন্য আমরা আজকে রাজপথে ফয়সালা করে এই দানব সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।

গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, নির্যাতন, সরকার পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। ঢাকা ছাড়াও শুক্রবার দেশের আরও ২৭টি মহানগর-জেলায় এই সমাবেশ হয়।

সমাবেশে ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই’, ‘জনগণ ব্যালট চায়, পুলিশের বুলেট নয়’, ‘ব্যালট চাই, ভোট দেব’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে অংশ নেয়।

বিদ্যুৎ-শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সর্বক্ষেত্রে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। তারা এই শেষ সময়ে টিকে থাকার জন্য মরণ কামড় দিচ্ছে। এই যে মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা- কোন দেশে আমরা বাস করি। হাইকোর্ট থেকে জামিন দেয়, সেই জামিন নিয়ে নিম্ন আদালত গেলে সেই জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। কোনো ঘটনায় ঘটেনি, মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই আন্দোলনে আমাদের ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছেন। আজকে একটু আগে শুনলাম খুলনায় আমাদের সমাবেশে গুলি হয়েছে। গুলি করে আমাদের জনগণের এই আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। তারা তো অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছেন, ১৫ বছর ধরে ধরে চেষ্টা করছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ওরা বলে কী- তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি কবরে চলে গেছে, বিলীন হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনারা যখন চেয়েছিলেন তখন ছিলে এটা ভালো.. সেদিন তো শেখ হাসিনা আপনি বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনোটাই মানব না। আজকে আমাদের পরিষ্কার কথা- এদেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য, নিজের ভোট নিজে দেবার জন্য এবং ভোটের রেজাল্ট ঘরে আনার জন্য তারাও তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন মানবে না।

তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা সংঘাত চাই না, আমরা কনফ্রন্টেশন চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। আমরাও মনে করে নির্বাচনই এর একমাত্র উপায়। সেই নির্বাচন কখনোই আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে না। আমরা ২০১৮ সালে নির্বাচন দেখেছি, ২০১৪ সালে দেখেছি। তাদেরকে আর বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। ওই আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে এবার নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই থাকতে পারে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের খুব পরিষ্কার কথা, আমাদের প্রথম শর্ত আমরা বলেছি যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, তারেক রহমানসহ ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, আপনারা সংসদ রাখবেন আর আমরা নির্বাচন করব- এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এমপিরা এমপি থাকবেন আর এমপি ইলেকশন হবে সেই নির্বাচন কোনোদিন সুষ্ঠু হবে না। সেই কারণে সংসদ আগেই বিলুপ্ত করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এই নির্বাচন কমিশন কেমন নির্বাচন করবে তার প্রমাণ তো আজকের পত্রিকায় দেখলাম যেটা আপনারা একটা নতুন আইন করতে যাচ্ছেন। যে নির্বাচন কমিশন আসলে কোনো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে না। তাহলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাটা কোথায়?

তিনি আরও বলেন, কাকে বুঝাচ্ছেন? দেশের সব মানুষকে কি বোকা মনে করেন, দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন। আর কতদিন প্রতারণা করবেন। আর পারবেন না।

মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, মীর নেওয়াজ আলী সপু, রকিবুল ইসলাম বকুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, পারভেজ রেজা কানন, রফিক শিকদার, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হক, তাবিথ আউয়াল, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুবদলের মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ মহানগর উত্তরের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এমএইচ/এসজি

Header Ad
Header Ad

বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সাংসদ ও দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় তারেক রহমান বলেন, ‘মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের সকল ক্রান্তিকালে জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি একজন জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশবাসীর নিকট অত্যন্ত সমাদৃত ছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নীতি ও আদর্শে গভীরভাবে আস্থাশীল এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে একজন আপসহীন যোদ্ধা হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। জনসেবার মহান লক্ষ্য সামনে নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই সরকারের মন্ত্রী হয়ে নিজ এলাকাসহ সারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন।’

‌‌‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের একজন অনন্য সংগঠক হিসেবে তার অবদান জাতির নিকট চির অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একাধারে প্রাজ্ঞ ও জনঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং সজ্জন ও বিনয়ী মানুষ হিসেবেও সর্বমহলে তার ছিল অকৃত্রিম গ্রহণযোগ্যতা। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চেতনাকে দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে তার লড়াই ছিল অবিস্মরণীয়। বর্তমান সময়ে তার মতো আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি।’

‘আমি আবদুল্লাহ আল নোমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান মঙ্গলবার সকালে ৬টায় ইন্তেকাল করেন। রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুকালে আবদুল্লাহ আল নোমানের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি তার সহধর্মিণী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad
Header Ad

ঈদুল ফিতরে যেভাবে মিলবে টানা ৯ দিনের ছুটি

ঈদে ৯ দিন ছুটি কাটাতে পারবেন যেভাবে। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিন ছুটির অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

আগে এ ছুটি ছিল ৩ দিন। গত ২১ অক্টোবর ছুটির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ ছুটি। ঈদের আগের দুই দিন ২৯ ও ৩০ মার্চ (শনি ও রবিবার) এবং ঈদের পরের দুই দিন ১ ও ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার ও বুধবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকবে। ২৮ মার্চ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। এ হিসাবে সব মিলিয়ে টানা ৬ দিন ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ ছুটি। ঈদের আগের দুই দিন ২৯ ও ৩০ মার্চ (শনি ও রবিবার) এবং ঈদের পরের দুই দিন ১ ও ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার ও বুধবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকবে।

এদিকে ২৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটি। এ হিসেবে সব মিলিয়ে টানা ছয় দিন ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। হিসাব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) অফিস খোলার কথা।

তবে বৃহস্পতিবার ছুটি নিলে পরের দুই দিন ৪-৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) ছুটি। অর্থাৎ ৩ এপ্রিল ছুটি নিলে ৯ দিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নাহিদ

উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নাহিদ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)। সেদিন বেলা তিনটায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হবে।

নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্র বলছে, নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। আর দলের সদস্যসচিবের পদে আখতার হোসেনের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত। তিনি এখন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব।

নতুন দলের মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র হিসেবে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর নামও মোটামুটি চূড়ান্ত। সারজিস ও হাসনাত গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির সমন্বয়ক ছিলেন। সারজিস এখন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক। অন্যদিকে হাসনাত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক।

নতুন রাজনৈতিক দলে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আলী আহসান জোনায়েদ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে আসতে পারেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তাঁদের মধ্যে জোনায়েদ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আর নাসীরুদ্দীন জাতীয় নাগরিক কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক।

২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতার সমন্বয়ে প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা সাজাতে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি কমিটির প্রথম বৈঠক হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
ঈদুল ফিতরে যেভাবে মিলবে টানা ৯ দিনের ছুটি
উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নাহিদ
ফুটবল থেকে রাজনীতির মাঠে ওজিল, যোগ দিলেন তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলে
ব্যান্ডউইথ সেবায় ভারত নির্ভরতা কমছে, সাশ্রয় ৬০ কোটি টাকা
তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আর কোন কথা হবে না: সেনাপ্রধান
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন
পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক  
৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  
চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই  
যুবদল নেতার বাড়িতে বোমা হামলা-অগ্নিসংযোগ, আহত ১