‘মানুষের আওয়াজ শুনলেই ক্ষমতাসীনরা আতঙ্কিত হচ্ছে’
বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে, গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দিয়ে সন্ত্রাসকেই রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। সেকারণেই বিরোধী দলীয় কোনো কর্মসূচিই সহ্য করতে পারছে না সরকার। মানুষের আওয়াজ শুনলেই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আতঙ্কিত বোধ করছে। তাই জনসমর্থহীন এই সরকার সন্ত্রাসের উপর নির্ভর করেই জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু-হু করে বেড়ে যাচ্ছে। সরকারের লোকেরা সর্বত্র সিন্ডিকেট তৈরি করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে যাচ্ছে। এই অনাচার আড়াল করতে অবৈধ গণবিচ্ছিন্ন সরকার সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিচ্ছে। সরকারি বাহিনী গুম-খুন, মামলা, গ্রেপ্তারসহ নানা ধরনের নিপীড়ন নির্যাতন নামিয়ে এনেছে আন্দোলনরত বিরোধী শক্তির উপর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের উপর এই নিপীড়ন-নির্যাতন করেও বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচিকে বানচাল করতে পারবে না। গণতন্ত্র অর্জনের জন্য গণতন্ত্রকামী মানুষের অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, দেশবাসী এখন এক অত্যাচারী ও নিপীড়ক সরকারের বর্বর শাসনে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় রয়েছে। জনগণের নিকট জবাবদিহিহীন এই সরকার প্রতিদিন প্রতিনিয়ত নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণের মাধ্যমে দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করে রাখতে চায়। সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের দিয়ে সারাদেশ মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশব্যাপী বিএনপি নেতা-কর্মীদের টার্গেট করে তাদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। তবে তাদের কোনো নীল নকশাই বাস্তাবায়িত হবে না। জনগণ জেগে উঠেছে তাদের হারানো অধিকার ফিরে পেতে, তারা এখন দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে অঙ্গীকারবদ্ধ। জনগণের শক্তির কাছে যুগে-যুগে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে ফেনী ও বরিশাল জেলায় আহত বিএনপি নেতা-কর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন একই সাথে সারাদেশে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
এসএন
