‘আন্দোলন নয়, ষড়যন্ত্রের রূপরেখা তৈরি করছে বিএনপি’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি নতুন করে চক্রান্তের রূপরেখা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) মিটি-সিটিং করছে, গোপন বৈঠক করছে। এখন নাকি রূপরেখা তৈরি করবে। এই রূপরেখা আন্দোলনের নয়, এই রূপরেখা ষড়যন্ত্রের। চক্রান্তের রূপরেখা তারা এখন তৈরি করছে। এটা রাজনীতি নয়, এটা বাংলাদেশের বিকাশমান উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিকে আক্রমণ করার জন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে।’
শনিবার (৬ মে) ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভায় এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগদের এ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের রূপরেখা রাজনীতির নয়। তারা চক্রান্তের রূপরেখা তৈরি করছে। মহামারির পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের অন্য দেশের জন্য বাংলাদেশ উদাহরণ। সেটা আইএমএফও বলে গেছে। আজ সেই অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য সন্ত্রাসের পথ বেছে নেবে বিএনপি। সেটাই আমরা জানি।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। তাদের নির্বাচন মানে তাদেরকে নির্বাচিত করার গ্যারান্টি দেওয়া। যদি নির্বাচন কমিশন তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি দিতে পারে, তবে সেটা হবে তাদের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচন।
জনসম্পৃক্ততার অভাবে বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, তারা বুঝে গেছে যে, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে তাদের জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনে হেরে যাবে বলে তারা ভয় পায়। তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে। সেই রূপরেখাই তারা তৈরি করছে।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের বিদেশ সফর বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক সফর উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকের অন্তর জ্বালা আছে আমরা জানি। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে যারা হিংসা করে, তারাসহ বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে বিষোদগার করতে শুরু করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্ব সংকটের প্রভাব আমাদের জনজীবনে অনিবার্যভাবে এসে পড়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে যদি কেউ বিবেচনা করে তাহলে এটি হবে একটি ঐতিহাসিক সফর।’
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে অপবাদ দিয়ে যে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিল, সেই বিশ্ব ব্যাংকের সভাপতি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক দেলোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাসস।
এমএমএ/