ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তৃণমূলের নেতারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় আমাদের দলকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই ধরে রেখেছেন। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কারণেই দল যুগ যুগ ধরে টিকে আছে।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার ছয় ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ আজকে বদলে গেছে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ সরকারের ২২ ধরনের উপকার ভাতা পাচ্ছে। অথচ, ২০০৯ সালে যখন আমি প্রথম এমপি নির্বাচিত হই তখন আমার বাড়িতেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। আজকে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে সারাদিন লেগে যেত, এখন একঘণ্টায় যাতায়াত করা যায়। এখন শুধু মূল সড়ক নয়, প্রত্যেকটা বাড়ি ঘরে প্রবেশের রাস্তাও পাকা করা হয়েছে। এসব উন্নয়ন আগে যারা রাঙ্গুনিয়া থেকে ভোট নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা করেননি। এসব উন্নয়নের কথা গ্রামে-গঞ্জে, হাট-বাজারে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৪ বছরে রাঙ্গুনিয়াসহ সারা দেশে যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে তা সবার কাছে বলতে হবে। যারা ভোট আসলে লাফালাফি করে, লুকিয়ে লুকিয়ে শহরে গিয়ে খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দেই, তারা যে সড়ক কিংবা ব্রিজের উপর দিয়ে যায় সেটিও আওয়ামী লীগের করা। করোনা-বন্যাসহ কোনো দুর্যোগে বিএনপিকে দেখা যাইনি। তারা কারও দরজায় একমুঠো চাল নিয়ে যাইনি। কিন্তু ভোট আসলে শীতের পাখির মতো ধান খেতে তাদের এলাকায় আবার দেখা যাবে। তাদের বয়কট করে আগামীতেও সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত করোনাকালে বর্তমান সরকার বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছে, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে। আমার পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পৌনে ২ কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছি রাঙ্গুনিয়ায়। সরকার এবং আওয়ামী লীগের এসব উন্নয়নের কথা সঠিকভাবে তুলে ধরলে আগামী নির্বাচনে মানুষ নৌকা মার্কা ছাড়া অন্যখানে ভোট দেবে না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লোকমান হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং এমরুল করিম রাশেদ ও মাহমুদুল হাসান বাদশার যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো জসিম উদ্দিন তালুকদার, লালানগর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু,পারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার হোসেন, নিজাম উদ্দিন বাদশা, সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী, ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল রাসু প্রমুখ।
এসজি