দেশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় 'জয় বাংলা' উল্লেখ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। আর দেশে বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা 'জয় বাংলা' স্লোগান মুখে আনে না ও দেশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে নানান ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশটাকে স্বাধীন করেছি। জয় বাংলা স্লোগান হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ ও বাঙালি জাতির সাহস সক্ষমতার প্রতীক। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক চেতনা ও সম্পদের সুষম বণ্টনের চেতনার বহিঃপ্রকাশ হলো জয় বাংলা স্লোগান। এই স্লোগান বিএনপি দেবে না।
রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মধুপুর অডিটোরিয়ামে এবি ব্যাংক আয়োজিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে উপজেলার মধুপুর গড় এলাকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ১ হাজার ৫০০ কৃষকের মাঝে ১ লাখ টাকা করে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল সংবাদ পরিবেশন ও মিথ্যাচার করে দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের একটি পত্রিকা বলছে যে, স্বাধীনতা দরকার নাই আমি না খেয়ে থাকি। খুব কষ্ট লাগে এসব কথা শুনলে। ১০ বছরের শিশুকে ১০ টাকা হাতে দিয়ে ছবি তোলে বলে, স্বাধীনতার দরকার নেই। এখনো যারা বলে স্বাধীনতা দরকার নাই তারা পাকিস্তানের সহচর। দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চেতনাকে উসকে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দেশ থেকে মঙ্গাকে দূর করেছে। মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পায়। একইসঙ্গে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফলমূলসহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের মাথাপিছু প্রাপ্যতা ও গ্রহণের হার অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবারের স্বাধীনতা দিবসে মাছ, মাংস আর চালের স্বাধীনতা নিয়ে অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রচার করে স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা হয়েছে।
কৃষিঋণের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, ঋণ নিয়ে কৃষিকাজে উৎপাদনশীল খাতে কাজে লাগাতে হবে। সরকার কৃষি খাতে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো নানান কঠিন শর্ত দিয়ে রেখেছে। অনেক সময়ই এসব শর্ত কৃষকরা বিশেষ করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকরা পূরণ করতে পারে না। এর ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য প্রকৃত কৃষককে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কৃষকদের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণ করেন ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ দেওয়ায় এবি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান।
এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম তপন প্রমুখ।
এসজি