‘প্রয়োজনে জীবন দেব, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না’
প্রয়োজনে জীবন দেব, জেলে যাব, তবু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাহেব যতই বলুন বিএনপির পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কোনো লাভ হবে না। গুটিকয়েক পুলিশ দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবেন না। ১৭ জন এখন পর্যন্ত জীবন দিয়েছেন। প্রয়োজনে ১৭ হাজার জীবন দেব। কিন্তু আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির এবং সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন আয়োজিত হয়।
সরকার গণমাধ্যমকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে উল্লেখ করে জয়নুল আবেদীন বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) আজ দেশের মিডিয়াকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছেন। প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছেন এবং সম্পাদক মতিউর রহমানের নামে মামলা দিয়েছেন। এতে আপনি প্রমাণ বা বার্তা দিতে চাচ্ছেন যে সাংবাদিকরা, আপনারা আর লেখালেখি কইরেন না, সামনে আমরাই (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় যাব। আমি সরাসরি বলব, আপনাদের এই কৌশল আর বিএনপির কাছে টিকবে না। আমাদের নেতা তারেক রহমানের কৌশলের কাছে আপনারা পরাজিত হবেন।
তারেক রহমানের কৌশলের কাছে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনাদের (আওয়ামী লীগ) ২০১৮ সালে বিশ্বাস করেছিলাম। গণভবনে আপনাদের সঙ্গে চা খেয়েছিলাম। আন্তরিকতার সহিত আমার দল গিয়েছিল কিন্তু সেদিন আপনারা আমাদের দলের সঙ্গে মুনাফিকি করেছিলেন। আপনারা দিনের ভোট রাতে করেছেন। সেই দিন আর নয়, এখন আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। তার কৌশলের কাছে আপনারা ইনশাআল্লাহ পরাজিত হবেন। আমার বিশ্বাস যতই কৌশল হোক, যতই ষড়যন্ত্র হোক, বিএনপির সামনে আর দাঁড়াতে পারবেন না।
ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ হোসেনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক প্রমুখ।
এমএইচ/এসজি