দেশে শিগগিরই গণঅভ্যুত্থান হবে: খন্দকার মোশাররফ
দেশে খুব শিগগিরই গণঅভ্যুত্থান হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সরকারকে হটাতে হলে একটি গণঅভ্যুত্থান প্রয়োজন। গণঅভ্যুত্থান তখনই সফল হয় যখন সব পেশাজীবী সংগঠন এবং জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়। ইনশাআল্লাহ এই গণঅভ্যুত্থান অতি দ্রুত বাংলাদেশে হবে। এই গণঅভ্যুত্থানে সবাই যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫২ বছর ও বিপর্যস্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকার দেশের কোনো কিছুই মেরামত করতে পারবে না। গণতন্ত্র যারা হত্যা করেছে তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারে না। অর্থনীতিকে যারা হত্যা করেছে তারা কখনো অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না। যারা স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করেছে তারা কখনোই নতুনভাবে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সাজাতে পারবে না। অতএব তাদেরকে যত দ্রুত বিদায় করা যায় তত দ্রুত জাতি এবং দেশের কল্যাণ হবে।
বিগত ১৪ বছরে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যাপক বিপর্যয় হয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, স্বাস্থ্য খাতের এ দুরবস্থা মূলত হয়েছে দলীয়করণের ফলে। দলীয়করণের ফলে সাধারণ মানুষ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেউ কেউ আবার দলীয় পরিচয় দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করে। এতে করে সাধারণ মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বারের বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, একটা সার্কুলার বেড়িয়েছে যে আগামী ৩০ মার্চ থেকে সরকারি হাসপাতালে বিকাল ৩টার পর থেকে ডাক্তাররা প্রাইভেট চেম্বার করতে পারবে। সরকারের দলীয় লোকদের পকেট ভারী করার জন্য সরকার এ ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে জনগণের কোনো কাজ আসবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো আব্দুস সালাম প্রমুখ।
এমএইচ/এসজি