সরকার ফের গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার চতুর্দিকে ফের হত্যা-গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছে। সাংবাদিকদের লেখালেখিতে সেন্সরশিপ চালু করেছে, যেন তারা প্রকৃত ঘটনা লিখতে না পারেন।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবী নেতদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নওগাঁ এক নারীকে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে। তুলে নেওয়ার ৩৬ ঘণ্টায় পরে মারা গেছে। তার ডাক্তারি রিপোর্টে এসেছে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর করা হয়নি। অর্থাৎ আবারও র্যাবের হাতে সাধারণ একজন মানুষ যিনি চাকরি করেন তার মৃত্যু হলো।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার শুধুমাত্র নিজেদেরকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য হত্যা, গুম, খুন, মিথ্যে মামলা দিয়ে একটি ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছে। দেশ জুড়ে ত্রাসের সংস্কৃতি চালু করেছে। এভাবেই তারা দেশ শাসন করতে চায়।
দেশে এমন একটি অবস্থা বিরাজ করছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষ ভালোভাবে ইবাদত পর্যন্ত করবে পারছে না। মানুষ নিরাপদ বোধ করছে না।
জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। দেশের চরম অশান্তি বিরাজ করছে। মানুষ নিরাপদ বোধ করছে না। গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো এই ফ্যাসিবাদী সরকার কেড়ে নিয়েছে। এ সময় তিনি সবাইকে এই সরকারের অন্যায়ে বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আহ্বান জানান।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন পেশাজীবীদের মধ্যে অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, কবি আবদুল হাই শিকদার, রুহুল আমিন গাজী, এমএ আজিজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. আবদুল কুদ্দুস, কাদের গণি চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. মো. আবদুস সালাম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক শহীদুর রহমান, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্য সেলিম ভুঁইয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো। নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক এনামুল পারভেজ, অধ্যাপক আব্দুল হালিম, অধ্যাপক আমির হোসেন ভূঁইয়া, ড. বোরহান উদ্দিন, ড. আব্দুর রহমান, সাংবাদিক ইলিয়াস খান, শফিকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, ফরিদ আহমেদ, আমিরুল ইসলাম কাগজী, সাহাবুদ্দিন চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ, নুরুল আমিন রোকন, মুরসালিন নোমানী এবং খুরশিদ আলম।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে বেগম সেলিমা রহমান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মো. আবদুস সালাম, অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, ফরহাদ হোসেন আজাদ, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ/এমএমএ/