আওয়ামী লীগকে যেতে বাধ্য করতে হবে: ফখরুল
আওয়ামী লীগের মূলনীতি চুরি আর দুর্নীতি এমনটা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে আওয়ামী লীগকে সরাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বক্তব্য একটাই, যারা এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে তাদেরকে জনগণের শক্তি দিয়ে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে। এই সরকার রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। এই রাষ্ট্রকে পুরোপুরি ব্যর্থ রাষ্ট্র করে ফেলা হয়েছে।’
শনিবার (১৮ মার্চ) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা মির্জা ফখরুল। ‘আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতি এবং বিএনপির ঘোষিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফার' দাবি নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ।
ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্ত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে কী হচ্ছে এটা সবার শোনা উচিৎ। কীভাবে আওয়ামী লীগ দেশের টাকা বিদেশে প্রচার করছে। ব্যাংকিং সেক্টর, দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট তুলে ধরে তিনি বলেন, এই দেশ আর নেই, কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। সব কিছু ধ্বংস করে ফেলেছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান বলেছেন, ভারত, চীন, রাশিয়াকে বলতে চাই, বন্ধু হয়ে থাকুন। জনগণের সঙ্গে থাকুন। এই সরকারের সমর্থন করা মানে জনগণের বিপক্ষে যাওয়া। আমরা আপনাদের সমর্থন চাই না। সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য জনগণের পক্ষে থাকুন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘টিআইবি রিপোর্টে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়নের চাকরির জন্যও ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। আমি বলেছিলাম এই সরকার বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতির প্রধান খাত হিসেবে বেছে নিয়েছে। এর আছে তেল আমদানি খাত।’
সিআইডি বলেছে-দেশ থেকে প্রতি বছর হুণ্ডির মাধ্যমে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। একটা বালিশ কিনেছে ৫ হাজার ৭০০ টাকায়। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকায় বানিয়েছে। আবার নতুন শুরু করেছে পাতাল রেল। উদ্দেশ্য একটাই, লুট। ২১ কিলোমিটার পাতাল রেলে খরচ হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘টাকা পাচার করে অর্থনীতিকে একেবারে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাংকিং খাত থেকে ৮০০ কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। ডলার সংকটে নিত্যপ্রয়োনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এই রাষ্ট্রকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে। দুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ ঢুকে আইনজীবীদের পিটিয়ে আহত করেছে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান বলেছেন, ভারত, চীন, রাশিয়াকে বলতে চাই, বন্ধু হয়ে থাকুন। জনগণের সঙ্গে থাকুন। এই সরকারের সমর্থন করা মানে জনগণের বিপক্ষে যাওয়া। আমরা আপনাদের সমর্থন চাই না। সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য জনগণের পক্ষে থাকুন।
এমএইচ/এমএমএ/