বিএনপির ভেতরে-বাইরে কোথাও গণতন্ত্র নেই: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির ভেতরে যেমন গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তেমনি দলের বাইরেও গণতন্ত্রের চর্চা নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বিএনপির ভেতরে-বাইরে কোথাও গণতন্ত্র নেই। তারেক জিয়া লন্ডনে বসে কালকে যদি চিঠি দেয় বা মুখে বলে যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না, তাহলে সেটিই হবে। মির্জা ফখরুল মহাসচিব থাকবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগে সম্মেলন ছাড়া এটি কখনোই সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত রাজনৈতিক দলের সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
নানান প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্রের অগ্রগতি এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মতো দেশে গণতন্ত্রের চর্চা খুব মসৃণ নয়। গণতন্ত্রের যাত্রা তুলনামূলকভাবে নতুন ও অনেক প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছে। দেশে বারবার গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তান আমলে স্বৈরাচার সামরিক শাসন ছিল। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন জিয়াউর রহমানসহ সামরিক শাসকেরা গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। এখনো অগণতান্ত্রিক শক্তিগুলো গণতন্ত্রের পথে বাধা। এসব মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই গণতন্ত্র আরও উন্নত হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ খুবই সুসংগঠিত ও শক্তিশালী দল। আওয়ামী লীগ সঠিক পথে রয়েছে। আন্দোলনে করে কখনোই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল ওল্ডস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে জেলা ও মহানগর পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ, নারীর অন্তর্ভুক্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কাজ করছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি ২০১১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করে আসছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের জেলা ও মহানগর পর্যায়ের ২১টি রাজনৈতিক ইউনিটের সঙ্গে কাজ চলছে।
সংলাপে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ২৮ হাজার ৬৮৪ জন নেতা-কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ৯ হাজারের বেশি নারী নেত্রী রাজনৈতিক দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ৮৫৭ জন নারী নেত্রী তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
এসজি