আসন ভাগাভাগি নিয়ে মার্কেটিং করা হচ্ছে: গয়েশ্বর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মার্কেটিং করা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রতিবেশী বা বিদেশি যারা এই মার্কেটিং করছেন তাদের বলব- আপনারা ক্ষান্ত দেন। এ দেশের জনগণ কী চায় সেটা উপলব্ধি করুন, অন্যথায় জনগণ আপনাদের কাপড়-চোপড় খুলে ফেলবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, গুম, খুন ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে গয়েশ্বর রায় বলেন, এমন সময় আসবে পাড়া-মহল্লায় লেখা থাকবে- এখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, এখানে কোনো আওয়ামী লীগ নেই। যেভাবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর লেখা হয়েছিল- এখানে রাজাকার নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ উদ্ধৃত করে গয়েশ্বর রায় বলেন, এদেশের মানুষ আজ মুক্তি চায়, বাঁচতে চায়। এটা কিন্তু আপনার (প্রধানমন্ত্রী) আব্বা হুজুরের কথা। আমরা সেই আন্দোলন করছি। এদেশের মানুষ ভোটাধিকার চায়। এবারের সংগ্রাম গণতন্ত্রের সংগ্রাম, ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সংগ্রাম।
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটাতে জনগণ প্রস্তুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলন যখন বিস্ফোরন্মুখী, তখন কৃত্রিম বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন দিকে নিয়ে, বিএনপিকে নির্যাতন করে আপনারা (সরকার) একটি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছেন। বিএনপি ও মানুষ মারার বিস্ফোরণ ঘটাবেন না। আন্দোলনের দৃষ্টি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, সরকারের সকল অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলন যেকোনো সময় জনবিস্ফোরণ ঘটবে। এ কারণে সরকার তার পুরোনো খেলা শুরু করেছে।
বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সরকারের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি রাখা হয়েছে। আমাদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা করে চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শিরীন সুলতানা, ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
এসএন