সরকারের অবহেলায় বারবার বিস্ফোরণ: খন্দকার মোশাররফ
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নাশকতা করছে কি না, এ ধরনের একটির পর একটি বিস্ফোরণের পেছনে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণের ঘটনা শুধু গতকালকেই নয়, আরও অনেকবার এরকম ঘটনা ঘটেছে। এসব নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই কারণ। এ সরকারের অবহেলা এবং ব্যর্থতার কারণে বারবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাদের ব্যর্থতার কারণে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হয়। তাদের উসকানিতে তাদের গুন্ডা-পান্ডা দিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদেরকে সমাবেশ করতে দেয় না, আমাদেরকে মিটিং করতে দেয় না; কারণ তাদের ভয় আমরা নাকি সমাবেশ করলে ঢাকায় বিস্ফোরণ হবে। জনগণ প্রস্তুত। আজ হোক বা কাল এ দেশে বিস্ফোরণ হবে না, হবে গণঅভ্যুত্থান।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আইয়ুব খানকে বিতাড়িত করেছি। গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে স্বৈরশাসক এরশাদকে বিতাড়িত করেছি। এ দেশের মানুষ বারবার প্রমাণ করেছে তাদের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। শ্রীলঙ্কা যদি পারে বাংলাদেশে অতি শীঘ্রই সেদিন আসবে।
সংগঠনের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, হাবিবুল হক হাবিব, জাহাঙ্গীর আলম সনি, শাহআলম, তারিকুল ইসলাম মধু, এম এ ওয়াজেদ, কবির উদ্দিন মাষ্টার, সাইদুল ইসলাম টুলু, কাজী কামাল উদ্দীন আহমেদ বাঁধন মিঞা প্রমুখ।
এমএইচ/এসজি