জনগণ যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত: মির্জা ফখরুল

ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম। শুধুমাত্র সরকার দলীয় লোকদের পকেট ভারী করতেই গত কয়েক মাসেই কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। কুইক রেন্টালের ভর্তুকির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষের ত্রাহি অবস্থা। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে এখন সব জিনিসের দাম আরও বেড়ে যাবে। সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকাই কষ্ট হবে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, নিশিরাতের ভোটের সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশ এখন ধ্বংসের শেষপ্রান্তে। বর্তমানে মানুষের ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই, নেই ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার। হত্যা, গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নিপীড়ন চালিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত জনগণ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, জনগণ হতে দেবে না। আমি আগামীকাল ৪ মার্চ দেশের সব মহানগরের থানায় থানায় ‘পদযাত্রা’ সফল করার জন্য সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। চাল, ডাল, তেল, আটা, লবণ, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানির দাম দফায় দফায় বাড়ানোর প্রতিবাদে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি বাস্তবায়ন ও নেতা-কর্মীদের হত্যাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে এই পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
এমএইচ/এসজি
