সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান: মঈন খান

সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, মানুষ যেভাবে চায়, সেভাবে সংবিধান লিখিত হবে। মানুষের প্রয়োজনে স্বাধীনতার পর থেকে বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সংবিধান বারবার লিখিত হয়েছে, পুনঃলিখিত হয়েছে এবং তা হতে থাকবে। মানুষের প্রয়োজনে যেভাবে সংবিধান তৈরি করতে হয়, ঠিক সেভাবে করতে হবে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের অনিবার্যতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তত্ত্ববোধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ বাতিল করেছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ দাবি করেছিল। সঙ্গে ছিল জামায়াতে ইসলামী। তখন জামায়াত জোরদার দল ছিল, এখন ততটা নেই। সেই জামায়াতে ইসলামী আরো দাবি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা দাবি করেছিল, আওয়ামী লীগ হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছে। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১৯৯৬ সালে হালাল ছিল, আজ তা কেনো হারাম হয়ে গেল?
তিনি বলেন, জনগণের দাবির মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া জনগণের নেত্রী। তিনি পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেন নাই। তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন সামনে দরজা দিয়ে। ৮ বছর রাজপথে রাজনীতি করে এসেছিলেন।
সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা আবোলতাবোল কথা বলছে। আজ একজন বলে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন, কাল আরেকজন বলে করতে পারবেন না। পরশু একজন বলে রাজনীতি করতে পারবেন, তারপরের দিন আরেকজন বলে করতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ উপলব্ধি করেছে, দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন। হুমকি ধামকি দিয়ে, মানুষ হত্যা করে, মানুষ গুম করে ক্ষমতায় থাকা যেতে পারে কিন্তু দেশের মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তারা ১৪-১৫ বছর ক্ষমতায় আছে, আরও কতদিন ক্ষমতায় থাকবে তা জানি না কিন্তু একটি কথা আমি বলতে চাই, পৃথিবীর ইতিহাস আপনারা অবলোকন করুন। কোনো স্বৈরাচার, বিরোধী সরকার চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একদিন না একদিন বিদায় নিতে হবে। এই সরকারকে এই দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা লগি-বৈঠার রাজনীতি করি না। অনেকেই অভিযোগ করে বিএনপি কিছু করতে পারে না। অভিযোগ করুক আর যাই করুক আমরা হিংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা নিয়মতান্ত্রিক ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাসী।
সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালি আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাম্মি আক্তার, বিলকিস জাহান শিরিন।
এসআইএইচ
