বিএনপি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: দুদু

আগামী নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হবে এবং এইবার আপনি পার পাবেন না, পার পাবার কোনো পথ নাই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) যত হম্বিতম্বি করেন না কেন আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে পার্লামেন্ট ভাঙতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।’
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কিছুদিন পরে নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিএনপি এ পর্যন্ত যতবার ক্ষমতায় গিয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে গিয়েছে। ভালো নির্বাচনের জন্য আমরা কেয়ারটেকার সরকারের কথা বলেছি। নির্বাচনের মাধ্যমেই এই সরকারকে পতন ঘটাতে চাই। কিন্তু সাজানো নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসতে চান, এই স্বপ্ন বাদ দেন।’
আগামী দিনের সরকার হবে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের সরকার। সেটা বিএনপি সরকার। নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকার, যোগ করেন তিনি।
দুদু বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক ছিলেন খাইরুল কবির খোকন। বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এ রকম একজন ব্যক্তির উপর আক্রমণ করা মানে দেশের স্বাধীনতা,গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ করা। মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহকে কোমরে দড়ি বেঁধে ও হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির গণতন্ত্রের ইলেকশনের বাইরে কি কোনো পথ আছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনারা যে সংবিধানকে ধ্বংস করেছেন এটা এক মিনিটের মধ্যে ঠিক করা যায়। বিএনপি’র দিকে বন্দুক ঘুরাবেন না নিজের দিকে ঘোরান তাহলে বুঝতে পারবেন কীভাবে সংবিধান ধ্বংস করেছেন।’
শামসুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপি ২৭ দফা দিয়েছে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আওয়ামী লীগ বিদেশে যে টাকা পাচার করেছে সে টাকা ফেরত আনতে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে। আর সেই জন্যেই আগামী নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হতে হবে।’
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতিকে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রহিম প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/
