চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি।
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে মির্জা ফখরুল ঢাকায় এসে পৌঁছান।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসকের পরামর্শে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিঙ্গাপুর যান। সেখানে তিনি সিঙ্গাপুর সুপ্রিম ভার্সুলার অ্যান্ড আন্তর্জাতিক ক্লিনিক এবং তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম চিকিৎসা নেন সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার পর ভাইরাল হওয়া সুনামগঞ্জের যুবদল নেতা হাসমত আলীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সোমবার (৪ মার্চ) রাতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সদস্য (সাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট আব্দুল হক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতা হাসমত আলী দিরাই পৌর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দিরাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন হাসমত আলী। বক্তব্যের শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেন, যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ প্রসঙ্গে হাসমত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, "আমি দীর্ঘদিন ধরে শহীদ জিয়ার আদর্শে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অসুস্থতার কারণে অসাবধানতাবশত এমনটা হয়ে গেছে।"
এ ঘটনা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সাদিক অ্যাগ্রো কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সাদিক অ্যাগ্রো কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান হোসেন চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতি মাধ্যমে ১৩৩ কোটি টাকারও বেশি অর্থ উপার্জন করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সিআইডি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
গতকাল সোমবার ঢাকার মালিবাগ এলাকা থেকে ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আজ মঙ্গলবার সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিমের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক একরামুল হাবিব সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইমরান বিদেশি গরু ও মহিষ চোরাচালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে গরু ও মহিষ চোরাচালান করতেন এবং ভুটান ও নেপাল থেকে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু চোরাচালান করে বাংলাদেশে আনতেন। এরপর তিনি এসব গরু ও মহিষ বিদেশি জাত বলে প্রচার করে অত্যধিক দামে বিক্রি করতেন।
সিআইডির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
এ ছাড়া, ইমরান দেশের গরু ও ছাগলকে বিদেশি এবং ‘উচ্চবংশীয়’ বলে প্রচার করে কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করতেন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা আয় করেন, যা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।
এছাড়া, অবৈধ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা ইমরান তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান 'জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড'-এর নামে এফডিআর খুলে বিনিয়োগ করেছেন।
সিআইডি জানায়, গতকাল এই অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে, যাতে ইমরান হোসেন, সাদিক অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম এবং অজ্ঞাত ৫-৭ জন আসামি হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধ্যমে ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া, সাদিক অ্যাগ্রো সম্প্রতি আলোচনায় আসে যখন তাদের গরু ও ছাগল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। গত বছরের কোরবানির ঈদে সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কিনেছিলেন এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান (ইফাত), যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর পর থেকে সাদিক অ্যাগ্রো খামার নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়।
গত জুলাই মাসে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ছয় কর্মকর্তাকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। সাদিক অ্যাগ্রো সংক্রান্ত নানা অভিযোগ নিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্তে নেমেছে এবং তদন্তের ফলস্বরূপ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সরকার ৫ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সভা শেষে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩,৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান। এর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২,০০০ চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।"
এছাড়া তিনি জানান, উপদেষ্টা পরিষদের নেয়া ১৩৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ৯২টি ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ৬৮.১৬ শতাংশ বাস্তবায়নের হার নির্দেশ করে। তিনি এটিকে "ভালো অগ্রগতি" বলে উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি "আড়াঙ্কো" বাংলাদেশকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে এলএনজি সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ ও সহকারী প্রেস সচিব শুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।