রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

গণতন্ত্রের প্রতি অশ্রদ্ধাই বিএনপির অনাগ্রহের কারণ: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদীয় দলের নেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার দল একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. সাহাবুদ্দিন মাঠের রাজনীতি করেছেন। রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি ঝুঁকি নিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছেন। যিনি মুক্তিযোদ্ধা, যার মধ্যে ভদ্রতা, নম্রতা একইসঙ্গে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সব কিছুরই সমন্বয় আছে। আর এ বিষয়ে বিএনপির অনাগ্রহের কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের অশ্রদ্ধা।’

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রস্তাবিত ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সমর্থিত মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশনে দাখিলের পর দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ-বিএসপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন তথ্যমন্ত্রী।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বিএসপি সভাপতি মো. মোজাফফর হোসেন পল্টু ও সাধারণ সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরী সভায় বক্তব্য দেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাবনা টাউন হল ময়দানে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারীদের অন্যতম ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। ১৯৬৭-৬৮ সালে তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৯-৭০ সালে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি, ১৯৭০-৭৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪-৭৫ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন, দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে মিছিল করেছিলেন এবং সেই অপরাধে ২০ আগস্ট অ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং ৩ বছরের বেশি সময় তিনি কারাগারে ছিলেন। কারামুক্তির পর তিনি ১৯৮০ সালে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর অ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দিন বিসিএস জুডিসিয়াল ক্যাডারে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫-৯৬ সালে তিনি জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব নির্বাচিত হন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিনিয়র জজ হিসেবে অবসরের পর তাকে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেন এবং সেই দায়িত্ব পালনকালে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ যে অসত্য সেটি তুলে ধরতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আপনারা জানেন, পদ্মা সেতুতে যে কোনো দুর্নীতি হয়নি সেটি কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির তো দেশটা নিয়েই কোনো আগ্রহ নেই। তাদের সমস্ত আগ্রহের মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়া। দেখুন কীভাবে শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে তারা তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছে এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখে! আমরাও চাই তিনি ফিরে আসুক, শাস্তির মুখোমুখি হোক, বিচার কাজের মুখোমুখি হোক। আর বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের সমস্ত আগ্রহ। জনগণ বা দেশ নিয়ে তো তাদের কোনো আগ্রহ নেই।’

তিনি বলেন, ‘আসলে গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি অশ্রদ্ধাশীল বিধায় বিএনপি এ ধরনের কথা বলতে পারে যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। এর অর্থ হচ্ছে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই।’

বিএনপির পদযাত্রায় সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি তো সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে দেওয়া এবং বিশৃঙ্খলা তৈরির অসৎ উদ্দেশেই ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সতর্ক পাহারায় ছিল, শান্তি সমাবেশ করেছে, সে জন্য তারা সারা দেশে যেভাবে বিশৃঙ্খলা করতে চেয়েছিল তা পারেনি। এরপরও বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র উঁচিয়ে তাদের সন্ত্রাসীরা সেই সব সমাবেশে যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ আর তাদেরকে ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো সেই পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ দেবে না।’

এর আগে বিএসপির সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা গণমাধ্যমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। সে কারণেই বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। সাড়ে চারশত থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১২শত ৬০টি দৈনিক পত্রিকা হয়েছে, অনলাইন গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে, একইসঙ্গে টেলিভিশনের সংখ্যা ১০টি থেকে এখন ৩৬টি সম্প্রচারে আছে। এফএম এবং কমিউনিটি রেডিওগুলোও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে লাইসেন্স পেয়েছে।’

সভায় বিএসপি নেতারা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ক্রোড়পত্রগুলোর বকেয়া বিল পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়া, জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় দৈনিকে নীতিমালা অনুযায়ী ক্রোড়পত্র প্রদান, মিডিয়া তালিকাভুক্ত সংবাদপত্রসমূহে সুষ্ঠু বিজ্ঞাপন বন্টন ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন কমিটিতে বিএসপি প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করাসহ ১৫টি দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন। মন্ত্রী দাবি-দাওয়াগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দেন।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ঘটনায় দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার।

তবে পরিপত্র জারির পর থেকেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কি সরকারি ছুটি থাকবে? এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা চলছে।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি থাকবে না। দিবসটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয়ভাবে পালন করা হবে, তবে ছুটি থাকবে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে এটি সরকারি ছুটি ছাড়া জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করা হবে, তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক এই দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা

মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির কর্তৃক মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মধুর ক্যান্টিনে শিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে। মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে শিবির বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের অবমাননা করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে দেয় ছাত্রসংগঠনটি ।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা স্বত্বাধিকারী মধুদা ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইট এর হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামি ছাত্রসংঘ পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা পালন করে। শহীদ মধুদা’র হত্যাকাণ্ডের নৈতিক দায় জামায়াতে ইসলামী, তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রসংঘ এবং পরবর্তীতে ইসলামি ছাত্রশিবিরকে নিতে হবে।

ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবিরের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন শহীদ মধুদার প্রতি এবং তার পরিবারের প্রতি অসম্মানজনক। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবির এর সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, শহীদের নিজের আঙিনায় খুনির সহযোগীদের বিচরণ খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অনুতাপ এবং বিবেকবোধ থেকেই ছাত্রশিবির এর মধুর ক্যান্টিনে আসা উচিত নয়।

তারা আরও উল্লেখ করেন, অপারেশন সার্চলাইট এ শহীদ মধুদা’র মতো অসংখ্য মানুষ শহীদ হওয়ার প্রেক্ষিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ইসলামি ছাত্রশিবির নানাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে এবং বীর শহীদদেরকে অবমাননা করছে। মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী