প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতরা জাতির শত্রু: বাংলাদেশ ন্যাপ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এক রাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়, ১২টি মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরে গভীর উদ্বেগ এবং তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাপ।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা দেশ-জাতি ও রাষ্ট্রের শত্রু। যারা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মন্দির, প্রতিমা ভাঙচুর করে সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তারা মূলত ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের’ চেষ্টা করে।
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের এই সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতিকে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিনষ্ট করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।
বালিয়াডাঙ্গীতে এক রাতেই বিপুল সংখ্যক মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা অস্বাভাবিক ও গভীর উদ্বেগের বিষয়। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে যারা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ষড়যন্ত্র করছে এবং যাদের গাফিলতিতে দুর্বৃত্তরা অনায়াসে এত বিপুলসংখ্যক মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটাতে পেরেছে তাদেরকে খুজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বালিয়াডাঙ্গীর ঘটনা সমাজের সম্প্রীতি নষ্টের জন্য দেশবিরোধী চক্রের কারসাজি। যা ব্যাখ্যার কোনো প্রয়োজন আছে বলে দেশবাসী মনে করে না।
দেশবিরোধী-রাষ্ট্রবিরোধী এই শক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে কোনো ব্যর্থতা ও শৈথিল্য দেশবাসী প্রত্যাশা করে না। এক ধর্মের উপাসনালয়ে আঘাত সব ধর্মের অবমাননা। স্থানীয় জনগণসহ দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে সাম্প্রাদয়িক সম্প্রীতি কলুষিত করার সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এমএমএ/এমএমএ/