কাদেরের বক্তব্যের উত্তর দিতে চান না ফখরুল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের উত্তর দিতে চান না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ এগুলোর উত্তর দেওয়ার কোনো প্রয়োজন মনে করি না। ওবায়দুল কাদের যা খুশি বলতে থাকুক, উনার বোধহয় সময় শেষ হয়ে এসেছে। এখন প্রলাপ করছেন। আমি এর আগেও বলেছি এই সমস্ত প্রলাপ করে লাভ নেই। বিএনপি এবং আমাদের সমমনা জোটগুলোর একটা লক্ষ্যেই এগোচ্ছি সেটি হলো- এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বিএনপি লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টা খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুরু হয়। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন তো আমরা করতেই চাই; কিন্তু সেটা এই সরকারের অধীনে নয়। আমরা অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাই। দ্যাট ইজ দ্য পয়েন্ট। এর মধ্যে ওইসব কথা বলে কোনো লাভ নেই।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি সেই আন্দোলনের অন্যতম শরীক জোট জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক ছিল। এই বৈঠক আমাদের রুটিন বৈঠকের মধ্যে একটি। বৈঠকে আমরা চলমান আন্দোলন বর্তমান প্রেক্ষাপট রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
একইসঙ্গে ভবিষতে আমরা কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করব সেই বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। বৈঠকে কোনো কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা যখন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে তখন জানতে পারবেন। পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা ইনশাল্লাহ ৪ ফেব্রুয়ারিই ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির সূর গরম ছিল এখন নরম হয়েছে ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘এইসব কথার উত্তর দেওয়ার আছে বলে মনে করি না। মাঠেই প্রমাণিত হবে, হচ্ছে। জনগণ রাজপথে থেমেছেন। উনি (ওবায়দুল কাদের) তো পালাবার পথ খুঁজছেন। এবং আমার বাসাতে পালিয়ে থাকবেন বলেছেন। এইসব কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।’
বিএনপি ভাঙনের সম্মুখিন হচ্ছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের এমন বক্তব্যের সমালোচনা বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কাজেই তো হচ্ছে এমন কিছু কিছু কথা বলা। যে সব মিথ্যা কথা না বললে…মিথ্যা কথা বলবেই তারা। ওরা তো মিথ্যা কথার বলেই টিকে থাকে। গতকালও আমি বলেছি-চাপাবাজি করাটা তাদের (আওয়ামী লীগ) স্বভাবজাত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এই মুহূর্তে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমরা জানাচ্ছি না।
এনপিপি’র চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘বৈঠকে আমরা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। ভবিষতে আন্দোলনটা কীভাবে বেগমান করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। শেখ হাসিনাকে কীভাবে পদত্যাগ করানো যাবে তা আলোচনা করছি।’
প্রসঙ্গত, ৪ ফেব্রুয়ারি যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচিতে সারাদেশে বিভাগীয় সদরে সমাবেশ কর্মসূচি পালনে ঘোষণা দেওয়া আছে। ওইদিন আরও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে কোন ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে সেটা নির্ধারণ করতেই মূলত সমমনা সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করে যাচ্ছেন বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা।
বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে ইতিমধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটি ও ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এমএইচ/এমএমএ/
--