আওয়ামী লীগ পালায় না, জনগণকে নিয়ে কাজ করে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, আজকে যারা বলে পালানোর সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ। পালায় কে? আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, পালায় আপনাদের নেতারাই। আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের সঙ্গে থাকে, সেই দলের নেতা-কর্মীরা কখনো পালায় না। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে কাজ করে।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী জেলার ২৬টি সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্প কাজের উদ্বোধন ও ৬টি উন্নয়ন প্রকল্প কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আমি ও আমার বোন দেশের বাইরে ৬ বছর শরণার্থী হিসেবে থেকেছি। এরপর জিয়াউর রহমানের বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে দেশে ফিরে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ শুরু করি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ শুরু করে। রাজশাহী একসময় উপেক্ষিত ছিল। রাজশাহীর মানুষের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর তৈরিকৃত রাজশাহীর রেশম-চিনি-পাট শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ৭৫ পরবর্তী সরকার ধ্বংস করে দিয়েছিল। সেগুলোকে পুনর্গঠনে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে ও বিএনপি নেতারাই দুর্নীতি করে পালিয়ে যায় দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক জিয়া আর কখনো রাজনীতি করবে না, মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কোকোর মাধ্যমে যে টাকা তারা পাচার করেছিল, তার ৪০ কোটি টাকা সরকার পরবর্তীতে ফেরত নিয়ে এসেছে। তারা ১ হাজার ৮০০ বাস, ৩৩টি সরকারি অফিস, লঞ্চসহ অসংখ্য মানুষকে আন্দোলনের নামে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাধারণ মানুষসহ পুলিশকেও তারা নির্মমভাবে পিটিয়েছে। তারেক জিয়া এতটা লুটপাট করেছে, যে বিদেশের মাটিতেও আয়েশি জীবনযাপন করছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০১-২০০৬ সালে তাদের অস্ত্রের মহড়া জনগণ দেখেছে। এ কারণে দেশে ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ারেশন হয়। কিন্ত আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করে তা বাস্তবায়ন করে।
এসময় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শেষে হাত উঁচিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে ওয়াদা করান প্রধানমন্ত্রী।
রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল। জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান প্রমুখ।
এসজি