রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘কিবরিয়া হত্যায় সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচার-তদন্ত আশা করি না’

আজ ভয়াল ২৭ জানুযারি। ২০০৫ সালের এই দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নেতা-কর্মী এবং আহত হন কমপক্ষে ৭০ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। এ হত্যাকাণ্ডের ১৮ বছর পূর্ণ হলো আজ। কিন্তু শেষ হয়নি এই হত্যা মামলা বিচার কার্যক্রম। বারবার পেছাচ্ছে মামলার তারিখ। হচ্ছে না সাক্ষ্যগ্রহণ। আর কবে শেষ হবে এর বিচার কার্যক্রম এর কোনো হদিস নেই। ফলে আশাহত হয়ে পড়েছেন কিবরিয়াসহ নিহত ও আহতদের পরিবার। কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া দাবি করেন, এই সরকারের কাছে একটি সুষ্ঠ বিচার এবং সুষ্ঠ তদন্ত আশা করেন না।

কিবরিয়াসহ ৫ হত্যা মামলার ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমরা পরিবার থেকে দাবি করেছি একটি সুষ্ঠ তদন্তের এবং একটি বিচারের জন্য। সেই বিচার এত বছরে হয়নি। কিন্তু কেন হয়নি দেশের মানুষ এটা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে। দুই বছর বিএনপি, দুই বছর তত্ত্বাধয়াক সরকার এবং ১৪ বছর আওয়ামী লীগ সরকার কেন এই বিচার করতে পারিনি, কেন তদন্ত করতে চায় না। এটা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে জনগণ। এতটুকু আপনাদের বলব- এই সরকার থাকাকালীন আমরা একটা সুষ্ঠু বিচার, সুষ্ঠু তদন্ত আশা করি না। পরবর্তী সরকারে কি হয় সেটা দেখা যাবে। তবে আমি মনে করি তদন্ত করার জন্য তখন একটা সুযোগ হবে। যেটা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হবে না।’

তবে মামলার বাদী ও হবিগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান বলেন, ‘দীর্ঘসূত্রিতা বিভিন্ন আইনগত জটিলতার কারণেই হচ্ছিল। ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তো কোনো তদন্তই হচ্ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নানা আইনি জটিলতার কারণে মামলা দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হয়। আমি বাদী, তাড়াতাড়ি শেষ হোক চাই। আমি সরকারি দলের এমপি, সরকারের লোক এবং আমার লোক নিহত হয়েছেন। তাই আমি চাই এই মামলা কার্যক্রম দ্রুত শেষ হউক।

এ ব্যাপারে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আব্দাল জানান, এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো অনেক মামলার আসামি থাকায় তাদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রতিনিয়ত যেতে হয়। এ কারণে সবসময় উপস্থিত থাকা সম্ভব হয় না। আর আসামির অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণও হয় না বলে বারবার তারিখ পেছাতে হয়। গত ১৫ জানুয়ারি সাক্ষীগ্রহণের তারিখ ছিল কিন্তু সাক্ষীরা আদালতে না উপস্থিত তারিখ পেছানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বাকীদের বিরূদ্বে সমন জারি করা হয়েছে। ৩২ আসামির মধ্যে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ১২ জন আসামি জামিনে আছেন। ১০ জন আসামি জেলহাজতে আর বাকি ৭ আসামি পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা অপর মামলাও ২০১৬ সালে হবিগঞ্জ থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। কিবরিয়াসহ আরো ৪ জনকে গ্রেনেড হামলায় হত্যা মামলার মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনকে ইতিমধ্যে অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শাহ এএমএস কিবরিয়া। বক্তব্য শেষে মঞ্চ থেকে নেমে বৈদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে আসলে তাদের উপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে কিবরিয়া ছাড়াও নিহত হন তার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। পরে এ ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার একটিতে তিন দফা তদন্ত শেষে চার্জশিট গঠনের মাধ্যমে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৫ সালে। এরপর থেকেই চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ।

এসআইএইচ 

 

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!

ছবি: সংগৃহীত

নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্রমাগত দুশ্চিন্তা শরীরের স্ট্রেস-রেসপন্স সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্রনিক স্ট্রেসের জন্ম দেয় এবং এমনকি অকাল মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে সংক্রমণ ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সঙ্গেও এটি সরাসরি সম্পর্কিত।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে কর্টিসলসহ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হজমজনিত সমস্যা, পেশির টান, অনিদ্রা ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

এছাড়া, অনিয়ন্ত্রিত বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ ধূমপান, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ বা মাদকাসক্তির মতো ক্ষতিকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে, যা আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

তবে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানোর জন্য সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলে এ সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মেডিটেশন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পেশাদার সহায়তা নেওয়া এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতে পারে।

সূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ঘটনায় দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার।

তবে পরিপত্র জারির পর থেকেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কি সরকারি ছুটি থাকবে? এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা চলছে।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি থাকবে না। দিবসটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয়ভাবে পালন করা হবে, তবে ছুটি থাকবে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে এটি সরকারি ছুটি ছাড়া জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করা হবে, তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক এই দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি