বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রিয় ‘জিয়া পরিবার’: টুকু

বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রিয় পরিবার ‘জিয়া পরিবার’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে বিএনপির উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৮ম মৃত্যুবারাষিকী’ উপলক্ষে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোকো রাজনীতির সঙ্গে সস্পৃক্ত ছিলেন না। কিন্তু তার প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা, সেটা আমরা দেখেছি-আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পরে। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জানাজা এত বড় হয় তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আছে কি না আমার জানা নেই।
এই বিমানবন্দর থেকে হেঁটে হেঁটে লাখো লাখো মানুষ গুলশান, গুলশান থেকে বায়তুল মোকাররম এসেছে। এতেই প্রমাণ হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রিয় পরিবার হচ্ছে জিয়া পরিবার। সবচেয়ে প্রিয় সন্তান হলো, জিয়া পরিবারের সন্তান।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার সন্তান হওয়ার ১/১১ এর পরে তার উপর যে নির্যাতন করা হয়েছিল সেই নির্যাতন ছিল অমানবিক। আর ওই সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও নির্যাতন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম আছে, এই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আরাফাত রহমান কোকো কাজ করে গিয়েছেন। বিদেশ থেকে ঘাস এনে প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামে লাগিয়েছেন। আর আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামের করতে তিনি সব কিছু করেছেন। এই ইতিহাস কেউ লেখবেন না।
টুকু বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে ক্রিকেট, এই ক্রিকেটের মানোন্নয়নের জন্য যে কাজ আরাফাত রহমান কোকো করে গিয়েছেন- তার উপরে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ দাঁড়িয়ে আছে।
এটা ইতিহাসে লেখা থাকে না। বাংলাদেশের এই ইতিহাস বিকৃতির সময়ে আরাফাত রহমান কোকোর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে অবদান তা লেখা থাকবে না।
দোয়া মাহফিলে বিএনপি নেতা আহমেদ আজম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, বেলাল আহমেদ, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ/এমএমএ/
