বিএনপির গণ-অবস্থান, আওয়ামী লীগের সতর্ক পাহারা
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো গণ-অবস্থান কর্মসূচি করছে। বিরোধীদের এই কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। রাজধানীসহ সারাদেশে বিভাগীয় শহরগুলোতে দলটির নেতা-কর্মীরা বসিয়েছেন সতর্ক পাহারা। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ চারটি পয়েন্টে সমাবেশে করবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা করেছে।
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেলা ১১টা থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি করছে। একই সময়ে ফার্মগেটে সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ। দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সমাবেশ শুরু করে। এ সব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
বিকালে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সমাবেশ হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অন্য রাজবন্দিদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে বুধবার সারাদেশে বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
বিএনপির এ গণঅবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খুব একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল ১০ তারিখ (১০ ডিসেম্বর) নিয়ে। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে ১০ তারিখে তারা চলে গেল গোলাপবাগে। এখন আবার বলে ১১ তারিখ (১১ জানুয়ারি) থেকে তারা আন্দোলন করবে। আবার সঙ্গে জুটে গেছে অতি বাম, অতি ডান। সব অতিরা এক হয়ে, আতি-পাতি নেতা হয়ে তারা নাকি একেবারে ক্ষমতা থেকে আমাদের উৎখাত করবে। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, জনগণের কল্যাণে কাজ করে। কেউ আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিল, আর আওয়ামী লীগ পড়ে গেল, এত সহজ নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ, অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, যে কোনো ধরনের আন্দোলনের নামে সহিংসতার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত।
আরএ/