‘সরকারের বিরুদ্ধে ৪২ রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলনে একমত’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নূর বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আমরা কোনও নির্বাচন হতে দেব না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসানো। কোনও সুস্থ গণতান্ত্রিক চিন্তা-ভাবনার মানুষ এই ধরনের নির্বাচনে অংশ নেবে না।’
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে নুরুল হক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে যুদ্ধংদেহী অবস্থা তৈরি হয়েছে এজন্য সরকার দায়ী। সরকার পরিকল্পিতভাবে তাদের ‘সেফ এক্সিটের’ জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা না করে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য দেশকে একটি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তৃতীয় পক্ষ ক্ষমতায় আসলে কিন্তু কেউই লাভবান হবে না। এজন্য সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে, বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে যেন একটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে ৪২টি দল যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে একমত হয়েছে।’
নুরুল হক নূর বলেন, বিজয়ের ৫১ বছরেও গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও বিচার ব্যবস্থা এখনো স্বাধীন হয়নি। স্বাধীনতার আগেও আমাদের যে ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের মর্যাদার জন্য লড়াই করতে হয়েছে, আজকেও সেই একই লড়াই করতে হচ্ছে। ৫১ বছরে আমাদের অর্জন, শুধুই একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। গণতন্ত্র, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও বিচার ব্যবস্থা আমরা এখনো পাইনি।
এই ছাত্রনেতা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পার করা একটি স্বাধীন দেশে যেভাবে বিরোধী মতকে দমন করা হচ্ছে, রাষ্ট্রযন্ত্র যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করছে, পাকিস্তান আমলেও এটা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উল্লেখ আছে-বঙ্গবন্ধুকে সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিকালে জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজকে একটা দলের শীর্ষ নেতা, মহাসচিবসহ অসংখ্য নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিন্তু জামিন দেওয়া হচ্ছে না।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নুরুল হকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ অন্য নেতা-কর্মীরা।
এমএইচ/এসআইএইচ