‘মানুষের একদফা দাবি, রাজনীতি থেকে আগুন সন্ত্রাসীর বিদায়’
বাংলাদেশের মানুষের একদফা দাবি যারা রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ায় তাদের রাজনীতি থেকে বিদায় দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি তাদের সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি দিতে যাচ্ছে। আর এ দেশের মানুষের এক দফা দাবি; যারা রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ায়, যানবাহনে আগুন লাগায়, প্রকৃতি ধ্বংস, পশু-পাখির উপর আগুন নিক্ষেপ করে তাদেরকে রাজনীতি থেকে বিদায় দিতে হবে; তাদের বিদায় নিতেই হবে।’
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ নামে একটি সংগঠন।
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান রক্তের উপর পা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা মধ্য দিয়ে এদেশে ক্ষমতা দখল করেছিল। সেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হাজার হাজার সেনাবাহিনীর জোয়ান এবং অফিসারকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া, ২২ হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ১৯৭৭ সালে শত শত সেনাবাহিনী বিমান বাহিনীর অফিসারকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে যেভাবে হত্যা করেছে, যা শত শত বছরের ইতিহাসেও এমন নারকীয় ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ও তারেক রহমানের নির্দেশনায় এবং ফখরুল সাহেবদের পরিচালনায়, অর্থায়নে বাংলাদেশে অগ্নিসন্ত্রাস করা হয়েছে। অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে পাঁচ শতাধিক মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, ৫০ জনের বেশি ড্রাইভার এবং শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, তিন হাজারের বেশি মানুষকে অগ্নিদগ্ধকে করা হয়েছে, সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে আগুন দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আগুন থেকে কেউ রক্ষা পায়নি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বিএনপি এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আজকের বিএনপির যে নেতৃত্ব, তারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। যারা রাজনীতির মানুষ পোড়ায় তাদের এদেশেই বিচার করা হবে। যারা কথায় কথায় মানবাধিকারের কথা বলে, তাদের কাছে এ ভাই-বোনদের আর্তনাদ পাঠিয়ে দেবে।’
মানববন্ধনের সঞ্চালনা করেন ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এবং ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনসহ ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের প্রায় ৫০ জন সদস্য এতে উপস্থিত ছিলেন।
এমএমএ/