ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচন এখন শেখ হাসিনার হাতে
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ন্যস্ত হলো। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সবার সম্মতিতে কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সব প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্রলীগের কাউন্সিলররা।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ছাত্রলীগের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতা নির্বাচনের দায়িত্ব শেখ হাসিনার হাতে অর্পণ করা হয়।
কাউন্সিলররা বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত। নেতা নির্বাচনের ব্যাপারে ওনার সিদ্ধান্ত আমরা সবাই মেনে নেব।
এর আগে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর, দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের প্রথম ভাগের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, দ্বিতীয় অধিবেশন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা সেখানে নাম প্রস্তাব করা হলে, প্রস্তাবিত সেই তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকেই আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন আমাদের সভানেত্রী।
সাধারণত সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়ে থাকে। ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হয়েছিল। তখন অভিযোগ উঠে, ছাত্রলীগের সাবেক এক সভাপতি সিন্ডিকেট করে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতেন। এই অভিযোগ ওঠার পর ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে সিন্ডিকেট ভেঙে নেতৃত্ব বাছাই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারও সেভাবেই নেতৃত্ব বাছাই করা হবে।
৩০তম সম্মেলনকে ঘিরে ছাত্রলীগের শীর্ষ ২ পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৫৪ জন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন সভাপতি ও ১৫৮ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে ২৪৫ জন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ৩৪০টি আবেদন জমা পড়েছে।
আরএ/