‘১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাহারায় থাকবে’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের অস্তিত্বের জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আমি কারও অন্ধ সমর্থক নই। যারা কাজ করে আমি তাদের পক্ষে বলি। আমি নোয়াখালীর স্বার্থে, রাজনীতির স্বার্থে আমার ভাই আব্দুল কাদের মির্জা ও একরামুল করিম চৌধুরীকে ক্ষমা করে দিয়েছি। নোয়াখালীতে আমি কোনো কলহ রাখতে চাই না। আমি কলহমুক্ত আওয়ামী লীগ চাই।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খেলা হবে, এই ডিসেম্বরে খেলা হবে,আগামী নির্বাচনে খেলা হবে, আন্দোলনে খেলা হবে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। টাকা চুরির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, খেলা হবে স্লোগান মির্জা ফখরুলের পছন্দ নয়। আরও কারও কারও পছন্দ নয়। কিন্তু যে স্লোগান জনগণ পছন্দ করে সেই স্লোগান আমি দিয়েই যাব। খেলা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নাকি রাজপথ ও ঢাকা দখল করবে। ফখরুল সাহেব আমি বলতে চাই, আমাদের নেতা-কর্মীরা মহানগর, জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, পাড়া মহল্লায় পাহারায় থাকবে। বিএনপি আগুন, লাঠি নিয়ে আসবে। এজন্য তারা পার্টি অফিসে সমাবেশ করতে চায়। বিশাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ফখরুল বলে খাঁচা।
লোডশেডিং হচ্ছে স্বীকার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন একটু লোডশেডিং হচ্ছে। মানুষ কষ্টে আছে। নেত্রীর চোখে ঘুম নেই। ফখরুলের জ্বালারে অন্তর জ্বালা।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন না আসায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এএইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন সেতুমন্ত্রী। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এসজি