‘আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করলে একটাকেও ছাড়ব না’
আন্দোলনের নামে আবার মানুষ পুড়িয়ে মারা, বোমা মারা কিংবা গ্রেনেড দিয়ে ওই ধরনের অত্যাচার নির্যাতন করতে চাইলে একটাকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এটা হলো বাস্তব কথা। আমাদের উপর যে আঘাত করা হয়েছে, তা আমরা ভুলি নাই। আমরা সহ্য করেছি, এটাকে অনেকে দুর্বলতা বলে। এটা আমাদের দুর্বলতা না।’
শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। ওই খুনিদের সঙ্গে নেই। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যেভাবে নির্যাতন করেছিল বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর একইভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল। ৬ বছরের শিশু থেকে ৬০-৬৫ বছরের বৃদ্ধরাও পাশবিক নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি। আমরা যখনই মানুষের কাছে ছুটে গেছি ; তারা গোপনে বলেছে, মা আমাদের উপরও অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। ঠিক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের মতো।
তিনি বলেন, ‘তারা যেভাবে নির্যাতন করেছিল বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর একইভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, যে গ্রেনেড যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহৃত হয় ; সেই গ্রেনেড মারা হলো আমাদের উপর। মানব ঢাল রচনা করে আমাকে রক্ষা করলেও আইভি রহমান সহ মহিলা আওয়ামী লীগের চার নেত্রীসহ ২২ নেতা-কর্মীকে আমরা হারিয়েছি। এত জঘন্য কাজ বিএনপি-জামায়াত করতে পারে সেটি কল্পনাও করা যায় না।
ইসলাম ধর্মই একমাত্র নারীদের সমান অধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম ধর্মই একমাত্র ধর্ম, যেখানে নারীদের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। সম্পদে স্বামী ও বাবার সম্পদে নারীর অধিকার দিয়েছে ইসলাম। অথচ ধর্মের নামে নারীদের ঘরে রেখে দিতে চায়, তারা জানে না।
সম্মেলনে মায়েদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ছেলে-মেয়ে যাতে নিজের মনের কথা মায়ের কাছে বলতে পারে, সে পরিবেশ করতে হবে। তাহলে তারা বিপথগামী হবে না। এ ক্ষেত্রে মায়ের বিরাট ভূমিকা আছে, সেটা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে দুপুর সোয়া ২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। ২টা ৫০ মিনিটে সম্মেলনের মঞ্চে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এমএমএ/