১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল হবে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে দেশের মানুষ যেভাবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করেছে; সেইভাবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল হবে। কারণ, এই সরকারকে হটানোই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনে ডলারের ঘাটতি, আমদানির জন্য এলসি বাতিল হচ্ছে। দুঃশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। দেশের মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যেবদ্ধ। তারা দেশের মানুষ ও বাংলাদেশকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ।
‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ সমাবেশ করছে ছাত্রদল। পূর্বঘোষিত এ সমাবেশ দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। তবে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে আসা শুরু করেন।
বিএনপির বর্ষীয়ান এই নেতা বলেন, ‘আমরা যখন আজকে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এই দিনটি পালন করছি, তখন দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার এই দিনটিকে নিয়ে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে। অথচ বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট ৭ নভেম্বর; জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন করতেই ৭ নভেম্বরের বিপ্লব।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে রাজনীতিবিদদের কোনো দিক নির্দেশনা ছিল না। নেতৃত্ব দিয়েছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে দুর্ভিক্ষ হয়েছে আর জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিদেশে চাল রপ্তানি করেছিল। পরবর্তীকালে তিনি বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং লুটপাট থেকে মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু করেছেন। এখন তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে জিয়াউর রহমানের বীরত্বকে অস্বীকার করতে চায়।
জেলহত্যা দিবসে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন এই হত্যার সঙ্গেও নাকি জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল। অথচ তখন জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল।
এমএমএ/