দেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ পারে, কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। ওদের কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এগিয়ে যাব। আমরা যুবদের কর্মসংস্থান দিয়েছি, বিএনপি হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, অনেকে নাকি আমাদের উন্নয়ন চোখে দেখে না। চোখ থাকতে অন্ধ হলে দেখবে কী করে? আমরা কত যুবকের কর্মসংস্থান করেছি। আর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া? সবই তো একই ইতিহাস। হাজার হাজার যুব নেতাদের হত্যা করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এখন রেজাল্ট নিয়ে কথা বলে অথচ ক্ষমতায় থেকে বিএনপি নেতা টাকা লুটপাট করে এখন বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। কারণ বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিল আমাদেরকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। আমরাও বলছি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ রুখতে পারবে না।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগ আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অবস্থান আছে (অংশ নিয়েছে)। যুবক থাকলে কাজ করার অনেক সুবিধা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবদের সম্পৃক্ত করতে যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তরুণরাই পারে দেশকে গড়ে তুলতে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তখন তারা হাজার হাজার নেতাকর্মীকে অপারেশন কি্লন হার্ট নামে হত্যা করেছে। যারা হত্যা করেছে তাদেরকে আবার নানাভাবে সহযোগিতা করেছে খুনিদের লালন-পালন করাই তাদের চরিত্র। এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা এতিমদের না দিয়ে সমস্ত টাকা পয়সা তারা মেরে খেয়েছে। যাদের নেতা তারেক রহমান হামলা মামলায় আসামি, অবৈধ অস্ত্র মামলার আসামি হয়ে সাজাপ্রাপ্ত তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা মানায় না।
যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন তরুণের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। তরুণ সমাজকে দেশ গড়ার কাজে মনোযোগী হতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। পরনির্বশীল হলে হবে না আমাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। এতে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঞ্চালনা করছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এর আগে, শুক্রবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার উপস্থিতির আনন্দে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশস্থল।
এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ওই সমাবেশ। প্রথমে হয় সাংস্কৃতির অনুষ্ঠান। এতে যুব মহাসমাবেশের মঞ্চ কাপিয়েছেন শিল্পী মমতাজ এমপি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই যুবলীগের প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমানের ক্রমধারা বর্ণনা ও তার সঙ্গে নৃত্যানুষ্ঠান ছিল অসাধারণ।
এশিয়ার বৃহৎ এ যুব সংগঠনের উৎসবমুখর এই আয়োজনে সারাদেশ থেকে লাখ লাখ যুবক মিলিত হয়েছেন। যোগ দিয়েছেন হালের সেরা চিত্রনায়কদের অন্যতম রিয়াজ, ফেরদৌস ও চঞ্চল চৌধুরী।
এএজেড