যুবলীগের মহাসমাবেশ: আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা
৫০ বছরে পা রেখেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এই যুব সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংগঠনটির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। বেলা ২টা ৪৩ মিনিটে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন তিনি।
যেহেতু করোনা সংক্রমণের পর ঢাকায় এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ সশরীরে উপস্থিত রয়েছেন তাই সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটগুলো গত ৪ দিন আগ থেকেই বন্ধ রাখা হয়। পরে গেটগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন ভিআইপিরা।
এ ছাড়া অন্য গেট দিয়ে যুবলীগের সম্মেলনে আসা নেতা-কর্মীরা প্রবেশ করছেন। এসময় তাদের তল্লাশি করা হয়। একই সঙ্গে নিরাপত্তার কারণে জাতীয় প্রেসক্লাব, কাকরাইল, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত, এলিফ্যান্ট রোড, বাংলা মটর, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষও পড়েছে বিপাকে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, উপর থেকে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, নিরাপত্তায় যেন কোনো ধরনের ঘাটতি না হয়। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় আমাদের নিতে হবে। ফলে সমাবেশস্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছি।
মহাখালী থেকে সমাবেশে আসা যুবলীগ কর্মী নয়ন মিয়া বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে আমি পায়ে হেঁটে এখানে উপস্থিত হয়েছি।
বসুন্ধরা থেকে আসা যুবলীগ কর্মী রাকিব হোসেন বলেন, হেঁটে এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকছি। খুব কষ্ট হয়েছে। রাস্তাঘাট এবং প্রবেশপথে ব্যাপক নিরাপত্তা রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। সমাবেশের আশপাশে এবং সমাবেশস্থল আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয় রাখতে কাজ করছে র্যাবের সদস্যরা।
কেএম/এসজি