ডিসেম্বরে হবে আসল খেলা: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লাঠির আগায় জতীয় পতাকা বেধে আন্দোলনের নামে লাল-সবুজের পতাকার অবমাননা করেন। পতাকার এই অবমাননা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। ফাইনাল খেলা হবে ডিসেম্বরে। আসল খেলা হবে রাজপথে। দেশ বিরোধী অপশক্তির মোকাবিলা হবে। যারা মা বোনের বুক খালি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা হবে। যারা আগুন সন্ত্রাস করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা হবে। ডিসেম্বরে হবে আসল খেলা। কোনও অপশক্তির কাছে মাথা নোয়ানো হবে না, কোন অপশক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার (৫ নভেম্বর) কুমিল্লা টাউন হলে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি শুধু দুর্যোগের কথা বলে কিন্তু তারাই একটি দুর্যোগ। মহাদুর্যোগের নাম বিএনপি। এই অপশক্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে। শেখ হাসিনা বাঁচলেই দেশ বাঁচবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা খোয়াব দেখছেন। তাদের রঙ্গিন খোয়াব কর্পুরের মতো উড়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেক রহমান ২১ আগস্টসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড। দণ্ড নিয়ে রাজনীতি করবেন না বলে লন্ডনে পাড়ি জমানো তারেক রহমান টেমস নদীর ওপাড় থেকে ফরমায়েশ দিচ্ছেন। কোনও দণ্ডিত নেতাকে দেশের মানুষ মেনে নেবে না।
এ সময় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়া জড়িত না থাকলে খুনিদের দুঃসাহস হতো না বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার। পাকিস্তানিরাও যাকে হত্যা করতে পারেনি, হত্যা করার সাহস পায়নি খুনি জিয়ার মদদে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপর খুনিদের পুরষ্কৃত করেন জিয়াউর রহমান। খুনিদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দেওয়া বিএনপির কাছে প্রশ্ন কেন খুনিদের পুরষ্কৃত করা হলো? সেই ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানও খুনের মাষ্টার মাইন্ড। তার নির্দেশে ও প্রত্যক্ষ মদদে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আইভি রহমানসহ নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
এসআইএইচ