১০ ডিসেম্বর নাকি তারা আমাদের সরিয়ে দেবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শুনেছি ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকা দখল করবে। তারা কী করবে জানি না। শুনেছি তারা ঠেলে ধাক্কিয়ে আমাদের সরিয়ে দেবে। শোনা কথায় কান দিয়ে কোনো কিছু করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। যখন হবে দেখা যাবে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে সচিবালয় সাংবাদিক ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকায় মহাসমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শুনেছি তারা নাকি ওই দিন ঢাকা দখল করবে। দেখা যাক, সময় ও পরিস্থিতি বলে দেবে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষতা ও দেশপ্রেমে ঘাটতির কারণে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। চাকরির ২৫ বছর বয়স হলে যদি কারও কর্মদক্ষতার ঘাটতি পড়ে যায়, দেশপ্রেম ঘাটতি পড়ে যায় তাহলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। সে যদি কাজ না করে বসেই থাকে, দায়িত্ব পালন না করে, তবে তো দক্ষতা ও দেশপ্রেমে ঘাটতির বিষয়টিই প্রমাণ হয়।
সংলাপের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সহযোগিতার অভাবে মাদক আসা ঠেকাতে শতভাগ সফলতা আসছে না। সবচেয়ে ক্ষতিকর মাদক আসে মিয়ানমার থেকে। এজন্য দেশটির সঙ্গে আলাপ হচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমার কিছুই করে না। এজন্য দেশটি থেকে আসা মাদক নিয়ন্ত্রণে তেমন সফলতা আসছে না।
নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়। এখন তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। অস্থিরতা ঠেকাতে সরকার কী ভাবছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যেকোনো দল তার কর্মকাণ্ড করবে। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। যদি কেউ রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে কিংবা গাড়ি ভাঙচুর করে কিংবা জনগণের দুর্ভোগ তৈরি করে তাহলে তো আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, এটা পৃথিবীর সব দেশেই হয়ে থাকে, আমাদের দেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে, যারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবেন তারা যদি স্বাভাবিকভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তারা মিটিং করবে তাদের দাবি-দাওয়ার কথা বলবে, সরকারের কোনোরকম বাধা দেওয়ার ইচ্ছা নেই এবং আমরা বাধা দিচ্ছিও না।
নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরোনো রাজনৈতিক মামলা সক্রিয় হচ্ছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো ভাঙচুর হলে বা যদি এমন কোনো কিছু হয় তাহলে মামলা হবেই। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কালকে একজন বিচারপতির গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। বিচারপতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মামলা করেছেন। এই মামলা তো হবেই। এখানে রাজনীতির গন্ধ আনা উচিত নয়। বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে তারা ভাঙচুর করে, জনদুর্ভোগ তৈরি করে তাহলে নিরাপত্তাবাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, পুরোনো মামলা তো শেষ করতে হবে। নিষ্পত্তি করতে হবে। যেগুলোর তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে, আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের হাতে তথ্য-প্রমাণ এসেছে সেগুলো শেষ করার কাজ চলছে।
এনএইচবি/এসজি