ভোগান্তি পেরিয়ে সমাবেশস্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) ময়মনসিংহে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ সফল করতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বাস বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে। শুক্রবার থেকেই বাস বন্ধ। পথে পথে বাধা। তারপরেও সমাবেশে এসেছেন তারা।
এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম।
এদিকে ময়মনসিংহের বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগযোগ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেই নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন। সমাবেশ সফল করতে শুক্রবার রাতেই নগরীতে অবস্থান শুরু করেন অনেকে। মাসকান্দা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে রাস্তার পাশে ড্রেনের স্লাবের ওপর পাটি পেতে ঘুমাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা সড়কের পাশেই রাত্রিযাপন করেন। চরপাড়া থেকে মাসকান্দা পুরো এলাকা জুড়ে মেলে অভিন্ন চিত্র। গতকাল রাত থেকে কেউ ট্রেনে, কেউ নদী পথে, কেউ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সমাবেশ স্থলে আসেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সকাল থেকেই নগরীর চরপাড়া ও মাসকান্দা এলাকা দখলে নেয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বাস বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে। শুক্রবার থেকেই বাস বন্ধ। পথে পথে বাধা। তারপরও নিজের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দিয়ে শুক্রবার রাতের মধ্যে ময়মনসিংহ শহরে পৌঁছেছি। কোনো বাঁধা তাদের আটকাতে পারেনি।
এদিকে সমাবেশস্থলেও কয়েক হাজার লোক প্রচণ্ড রোদের মধ্যে মঞ্চের সামনে অংশে পলিথিন কাগজ পেতে বসে আছেন। স্লোগানে-স্লোগানে নেতা-কর্মীরা মুখরিত করছেন পুরো সমাবেশস্থলে। সবার মুখে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান।
জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সব দিকে হরতাল চলছে। নেতা-কর্মীদের আসতে দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা হেঁটে সমাবেশের দিকে আসছেন। অনেক স্থানে হামলা করা হয়েছে। নগরীর হোটেল মোস্তাফিজে নেতাকর্মীরা অবস্থান করায় সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ, তাদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবুও সব বাধা অতিক্রম করে সকাল থেকে সমাবেশস্থল ভরে উঠেছে।’
এমএইচ/আরএ/