শুধু কথায় না, আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে একটি বিরোধী দল আছে, রাজপথের বিরোধী দল। মির্জা ফখরুল সাহেবের বাড়ি এই উত্তরবঙ্গে, পাশের জেলা ঠাঁকুরগাঁওয়ে। তিনি এখনো এখানে আসেননি। আমরা যাওয়ার পরে তিনি আসবেন। কারণ আওয়ামী লীগ এসেছে, বিএনপিকে তো আসতেই হবে। তিনি এখন এখানে আসবেন। তিনি এখনো না এসে ঢাকায় বসে নানা ধরনের কথা বলছেন। এরা এগুলাই করে।
রবিবার (২ অক্টোবর) বিকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের স্বজনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু কথা বলে না, মানুষের পাশে থাকে। মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সে কারণেই আমরা এসেছি। আমাদের নেতারা এসেছে। নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিএনপি নেতারা কি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল? কিন্তু ভোট আসলে তারা আসবে। ভোট আসলে বলবে পরীক্ষার খাতায় কী ভুল হয়েছিল। তাদের পরীক্ষার খাতা তো সাদা। পরীক্ষায় দেয় নাই। আমরা ১৪ বছর ধরে লেখেছি। তারা পরীক্ষায় তো অংশ নেয় নাই। ভোট আসলে তারা আসবে। তখন তাদের বলবেন এতদিন কোথায় ছিলেন। অতিথি পাখির মতো এসেছেন সাইবেরিয়া, হিমালয় থেকে। সেখানেই চলে যান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ব্রিজের নকশা হাতে নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে এই করতোয়া নদীর উপর ওয়াই ব্রিজ হবে। ইতোমধ্যে ব্রিজ তৈরির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। একনেকে অনুমোদন হয়েছে। বুয়েটের প্রতিনিধি দল এখানে আসছে পরিদর্শনে। আমাদের সরকার মাটি ও মানুষের সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কখনো এদেশের মানুষের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করে নাই।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সুকুমার চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, বোদা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বোদা পৌরসভার মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান সুজা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাটে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তথ্যমন্ত্রী নিহত প্রত্যেক পরিবারের সদস্যের হাতে ৫০ হাজার করে টাকা তুলে দেন।
এ অনুষ্ঠানে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসজি