বিএনপির সমাবেশ স্থলে ১৪৪ ধারা জারির অভিযোগ
রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি স্থলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। আগামীকাল সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ শংকর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সমাবেশ করার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি প্রদান করা হয়নি। জানা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা ও তেজগাঁও বিভাগের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা নিরাপত্তার স্বার্থে বিএনপির সমাবেশ নিষেধ করেছেন।
পুলিশ বলছে, ধানমন্ডিতে সমাবেশ স্থলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে একটি রাজনৈতিক দল এসব অভিযোগ করেছে। বিষয়টি এমন নয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
সমাবেশ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশ-কে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বলেন, মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সমাবেশ স্থলে মৌখিকভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি এলাকার সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সমাবেশ না করতে। এর আগে হাজারীবাগে আমরা সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। সেখানেও পুলিশ বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেখানে যুবলীগের কর্মসূচি ঘোষণা করলে আমরা ধানমন্ডিতে কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নেই। এখন যুবলীগ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ কারণে পুলিশ সমাবেশ স্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বাধার মুখে বিশৃঙ্খলা হতে পারে আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সমাবেশ করতে আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে শুনেছি। তবে এখনো আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করেনি। বিএনপি নেতাদের ধারণা এটা। পুলিশের চোখে সবাই সমান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধানমন্ডি থানার আরেক কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তা ও মানুষের জানমাল রক্ষায় দুই পক্ষকে সমাবেশ না করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে যেকোনো একটি পক্ষ সমাবেশ করতে পারবেন।
ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মর্যাদার এক কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সর্বদা নিয়োজিত রয়েছি। দেশে কোনো হট্টগোল হোক সেটা আমরা চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক দলের মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হোক সেটাই আমাদের কাম্য। কিন্তু পাল্টাপাল্টি মিছিল মিটিং হওয়ার কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য বিবেচনা করে দুই দলের মধ্যে সমাবেশ নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আমরা শুনেছি সমাবেশ করতে পুলিশ নিষেধ করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কাগজপত্র পাইনি। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা-কর্মীরা নিবেন।
কেএম/এসআইএইচ