শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আন্দোলনে থাকবে বিএনপি

আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রীতিমতো সংঘাতের দিকে যাচ্ছে রাজনীতি। এতদিন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো বক্তব্য দিলেও এখন সেটি রাজপথে সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ৪ জনের প্রাণহানিও হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। এসব সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যরাও আহত হয়েছেন।

হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠা রাজনৈতিক অস্থিরতার এই পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতারা বলছেন, দলের নেতা-কর্মীরা যাতে মাঠে নামতে না পারে সেজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পুলিশকে ব্যবহার করে এখন নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। হামলা করছে, মামলা দিচ্ছে। এতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকে ঘরবাড়ি ছাড়া। গ্রেপ্তার এড়াতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অনেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। যারা এলাকায় অবস্থান করছেন তারাও রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন না। এমনকি তৃণমূলের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের তালিকা করে তাদের বাসায় প্রতিদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীদের।

দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছে, আন্দোলনকে সামনে রেখে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে রাজপথে বিএনপির সক্রিয় নেতা-কর্মীদের টার্গেট করে নতুন নতুন মামলা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, হামলা করা হচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুরোনো মামলায় ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির স্থানে নাম ঢুকিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। দ্রুতগতিতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মামলার চার্জশিটও। একই গতিতে চলছে বিচার কাজও।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বিএনপি যখন আন্দোলনের প্রস্তুতি ও দল গোছানোর কাজ শুরু করেছে ঠিক সেই মুহূর্তে সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মামলা জালে আটকানোর কৌশল নিয়েছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে কারা জড়িত তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। অনেক এলাকায় মামলার আগেই নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। যাদের নামে মামলা নেই তাদেরও আটক করে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় ৪০০ জনকে। মামলার খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে গ্রেপ্তার আতঙ্কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তিরত চিকিৎসাধীন বিএনপির ১৬ নেতা-কর্মী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এ ছাড়া পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও নিহত যুবদল কর্মী শাওনের বড় ভাইয়ের পৃথক পৃথক দুটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই অধিকাংশ নেতা-কর্মী এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।

অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা বলছেন, কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা মামলা থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করতেই পারে। আর আইন অনুযায়ী মামলার বিচারকাজ চলছে। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বা বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল নেই। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আন্দোলনের নামে কেউ জ্বালাও-পোড়াও করলে ছাড় দেওয়া হবে না।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকার একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। নানা ব্যর্থতা আড়াল করা ও বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে সহিংসতাকে উসকে দিয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা এবং তাদের গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে সামনে রেখে বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে সরকার ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নতুন নতুন মামলা দায়ের করা হচ্ছে। অজ্ঞাত মামলায় কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করছে। সক্রিয় নেতাদের টার্গেট করে নতুন নতুন মামলা দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না থাকলেও নতুন মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মামলার জালে জড়িয়ে অনেক নেতা-কর্মীই বাড়ি ছাড়া।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে তারা আবারও একতরফা একটি নির্বাচন করার পাঁয়তারা শুরু করেছে। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নয়। এবার একতরফা নির্বাচনের স্বপ্ন তাদের পূরণ হবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির সক্রিয় নেতাদের টার্গেট করে নতুন নতুন মামলা দিচ্ছে। নেতা-কর্মীদের মাঝে ভীতি সৃষ্টির লক্ষ্যে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা আবারও দেশে একটি একদলীয় নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। মামলা-হামলা করে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা যাবে না। জনগণ এবার তাদের ভোটাধিকার রক্ষায় কোনো ছাড় দেবে না।

তিনি আরও বলেন, সরকার বিএনপির আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ রাখতেই এসব ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি।

এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার নামে হয়রানি করছে এবং দেশে বিরাজমান ভয়ের পরিস্থিতিকে আরও আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলছে।

তিনি বলেন, বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর কমিটির তালিকা সংগ্রহ করছে পুলিশ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সংবিধান ফৌজদারী কার্যবিধি পুলিশ আইন বা পুলিশবিধি কিংবা অন্য কোনো আইন দ্বারা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রম একদিকে যেমন নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ন করছে তেমনি নাগরিকের আইনি অধিকার ভোগ করা এবং তার ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে প্রতীয়মান হয়, যা সংবিধানের ৩১, ৩২ এবং ৪৩ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, নেতা-কর্মীদের পেশা, সন্তান-সম্পত্তির বিবরণসহ ১৪ গোষ্ঠীর যাবতীয় বিষয়ে পুলিশের তথ্য সংগ্রহ দেশে বিরাজমান আতঙ্কের পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলছে। বিএনপি এই অবস্থার অবসান চায়। আমরা পুলিশ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, এভাবে সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad

সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

এ আর রহমান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা। ছবি: সংগৃহীত

এ আর রহমান বিচ্ছেদের ঘোষণা করার পর থেকে তাকে নিয়ে নানা খবর ছড়িয়েছে। একদিকে যেমন রহমান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সায়রার সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনা। অন্যদিকে সুরকারের সহশিল্পী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে গুঞ্জন রটেছে। তবে এই নিয়ে মোহিনী বা রহমানের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ঠিক এরই মাঝে নতুন পোস্ট করে এ আর রহমান ভক্তদের দিলেন সুখবর।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রহমান তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট দিয়েছেন রহমান। এতে তিনি জানান, দক্ষিণী সিনেমা ‘দ্য গোট লাইফ’র আবহসংগীতের জন্য হলিউড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ সিনেমার পুরো টিমকে এ ভিডিওর মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ সংগীতজ্ঞ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী মোহিনীও স্বামী ম্যাকের সঙ্গে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দুই ঘটনার মধ্য়েই মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। এমনকী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই রহমান এ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- এমনটাও বলছেন কেউ কেউ।

 মোহিনী-এ আর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

এ আর রহমান ও মোহিনীকে জড়িয়ে বিতর্ক শুরু হতেই মুখ খুলেছে রহমানের সবেক স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ। তিনি গণমাধ্যমকে জানালেন, ‘এসব বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনো সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো’।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্য়েকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ভালো-মন্দের মধ্য়ে দিয়ে এগিয়ে যায়। আমি খুবই খুশি তারা খুব সচেতনভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন’।

১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। তাদের ঘরে তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে।

Header Ad

ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

কেলি এম ফে রজরিগেজ (বামে) এবং থিয়া লি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে টেকসই অর্থনীতি, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থবহ ও মানসম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষে ৪ দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রজরিগেজ এবং শ্রম বিভাগের পক্ষে ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে ঢাকায় পৌঁছে শ্রমিকের কাজের পরিবেশ এবং বিস্তারিত নিয়ে শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এদিন দুপুরে বৈঠক করবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর সঙ্গে। এছাড়াও সরকারি প্রতিটি পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের গার্মেন্টস উৎপাদক এবং শ্রমিক ইউনিয়ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের সর্বোত্তমভাবে কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবে।

এই সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমের মান, সেইসঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগ করা সমৃদ্ধির উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়।

Header Ad

আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজেরে অবস্থান জানিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘বিচার নিশ্চিতের পূর্বে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া মানে চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা।’

এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ যেসব হত্যাকাণ্ড এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, সেগুলোর বিচার শেষে দলটিকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যারা হত্যা ও ক্ষমতার অপব্যহারের সঙ্গে জড়িত, যখন তাদের বিচার সম্পন্ন হবে, তখনই দলটিকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে। অন্যরা নির্বাচনে অংশ নিতে যতটা স্বাধীন তারাও ততটাই স্বাধীন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অঙ্গনে লড়াই করব।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন